অভিনয় দিয়ে বিশ্বের কোটি ভক্ত-দর্শকের মন জয় করেছেন বলিউডের কিং শাহরুখ খান। ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন সবার। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও অর্জন করে নেন। আজকের দিনটি তার জন্য বিশেষ। ১৯৬৫ সালে ২ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শাহরুখ খান। ৫৭ বছরে পা দিলেন বরেণ্য এই অভিনেতা।
প্রিয় অভিনেতার জন্মদিন ঘিরে ভক্তদের উচ্ছ্বাসের কমতি থাকে না। আর জন্মদিন এলেই তো ভাসেন ভালোবাসার জোয়ারে। প্রিয় অভিনেতার জন্মদিনের কয়েক দিন আগে থেকেই তার মান্নাতের বাড়ির সামনে ভিড় করতে দেখা যায় তার ভক্তদের।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দিবাগত রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সহকর্মী, ভক্তদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন তিনি। এবারের জন্মদিনটা শাহরুখ ভক্তদের কাছে একটু স্পেশাল। কারণ দীর্ঘ তিন বছর পর প্রিয় তারকার জন্মদিন উদযাপন করছেন তারা।
প্রতি বছর প্রিয় তারকার বিশেষ দিনটিতে তাকে এক নজর দেখতে ভিড় জমান হাজার হাজার ভক্ত। রাজকীয় প্রাসাদের বারান্দায় এসে তাদের উদ্দেশে হাত নাড়েন শাহরুখ। যদিও ছেলে আরিয়ান খান মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ায় গতবারের প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। তবে কি এবার বারান্দায় এসে চিরাচরিত ভঙ্গিতে হাত নাড়বেন কিং খান?
দিল্লির হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন শাহরুখ খান। তারপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে গণযোগাযোগ বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন। কিন্তু অভিনয় জীবন শুরু করার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। তবে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরুর দিকে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-তে ভর্তি হন এই শিল্পী।
একই বছর ‘চমৎকার, ‘দিল আসনা হে’ ও ‘রাজু বান গেয়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করেন শাহরুখ। তার পরের বছর ‘ডর’ ও ‘বাজিগর’ সিনেমায় অভিনয় করে নিজের জাত চেনান শাহরুখ খান। তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ হন কোটি ভক্ত; পৌঁছে যান সাফল্যের চূড়ায়। তার অভিনয়ের খ্যাতি আরো বাড়তে থাকে যশরাজ ফিল্মসের সিনেমায় ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে। একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন শাহরুখ। যদিও তার এই সফলতার জার্নির গল্প মোটেও সহজ ছিল। আর সে গল্প সবারই জানা।
অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন শাহরুখ খান। তার মধ্যে ১৫ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। এর মধ্যে ৮ বার সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। হিন্দি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেন মোট ৫ বার।