২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:৩০:২২ অপরাহ্ন


প্রেমিকার জন্য যুবককে হত্যা, তিন বন্ধুর যাবজ্জীবন
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১০-২০২২
প্রেমিকার জন্য যুবককে হত্যা, তিন বন্ধুর যাবজ্জীবন প্রেমিকার জন্য যুবককে হত্যা, তিন বন্ধুর যাবজ্জীবন


লক্ষ্মীপুরে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতনের পর শ্বাসরোধ করে মেহেরাজ হোসেন নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় তিন বন্ধুর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃষ্টি নামে একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের জের ধরে মেহেরাজকে হত্যা করা হয়েছে। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবদুল্লাহ আল মামুন, সজিব আহম্মদ ও তানভীর হোসেন বিজয়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টি নামে এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মামুনের। ভিকটিম মেহেরাজও ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেম করার চেষ্টা করে। বিষয়টি জেনে মামুন তার বন্ধু সজিব ও বিজয়কে ডেকে নিয়ে মেহেরাজকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এজন্য সজিব ও বিজয়কে ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় মামুন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী তিন বন্ধু মিলে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে মেহেরাজকে নেশা জাতীয় ওষুধ খাইয়ে কোমড়ের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ বস্তাবন্দী করে মামুন ও বিজয় লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার সৈয়দপুর গ্রামের টক্কারপুল এলাকায় ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়।

পরে মেহেরাজকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি তার ভাই মাহবুবুর রহমান সুধারাম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে টক্কারপুল ব্রিজের নিচ থেকে দাসেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মেহেরাজের মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে ২ মার্চ মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০২০ সালের ৩০ মে তদন্তকারী কর্মকর্তা চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়।