দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত জমিতে জবর দখল করে টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম ইন্সটিটিউটের ভবন নির্মাণ ও মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।
রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ফুলবাড়ী পৌরবাজারস্থ ভূক্তভোগীর নিজস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূক্তভোগী মোহাম্মদ আলী কাদের নেওয়াজ।
এসময় তার বড় ছেলে মো. আব্দুস ছালেক শাওন, ছোট ছেলে তোহা ম-ল, জামাতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ভূক্তভোগী মোহাম্মদ আলী কাদের নেওয়াজ বলেন, পৈত্রিকসূত্রে গত ২৭/০১/১৯৭৯ খ্রিঃ তারিখে ফুলবাড়ী উপজেলাধীন পূর্ব গৌরীপাড়া মৌজায় ২৪৯ নং দাগে ৫১ জে.এল, ২১৭ সি.এস খতিয়ান ও ২৪১ এস.এ খতিয়ানে ৯৭৮ খতিয়ানের ৬৭ শতক জমির মধ্যে ৩৩.৫০ শতাংশ উত্তর দিকে পূর্ব-পশ্চিমে হেবানামা দলিলমূলে প্রাপ্ত হয়ে আমি ভোগদখল করি। পরবর্তী সময়ে আমি উক্ত জমি একইভাবে আমার দুই ছেলে মো. আব্দুস সালেক (শাওন) ও মো. তোহা মন্ডল বরাবর হস্তান্তর করি। উক্ত সম্পত্তি কিছু অংশজুড়ে অবৈধভাবে টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. আবু তৈয়ব সালাহউদ্দিন (তুহিন) অজান্তে জোরপূর্বক ছোট ছোট দুটি ঘর স্থাপন করেন। জায়গার বিষয়ে আমরা বলতে গেলে অত্রপ্রতিষ্ঠানের প্রধান আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বিভিন্ন ধরনের পেশীশক্তি ও হুমকি প্রদর্শন করেন।
গত ২০ অক্টোবর ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম ইন্সটিটিউটের ভবন নির্মানের বাঁধা প্রদানসহ শিক্ষার্থীদের হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেন ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। যা সম্পূন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি ভূক্তভোগী পরিবারের। জমি জবর দখল করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণসহ মিথ্যা তথ্য প্রচার ও মানববন্ধন করার প্রতিবাদে গত রবিবার সকালে ওই জমিদখলকারী দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি পেশ করেন ভূক্তভোগী পরিবার।
অভিযুক্ত ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. আবু তৈয়ব সালাহউদ্দিন (তুহিন) বলেন, পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৩৫ শতাংশ জমিতে ২০০১ সালে ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের জমির দিক নির্ণয় নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ চলে আসছিল যা সমঝোতাও হয়েছে। এরপরেও প্রতিপক্ষরা সমঝোতা না মেনে ওই প্রতিষ্ঠানে সরকারি বরাদ্দকৃত ভবন নির্মাণ করতে গেলে বাঁধাসহ হুমকী প্রদান করে। যার প্রতিবাদে আমরা গত ২০ অক্টোবর প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছি।