খুলনায় বিএনপির সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটির জেরে রেল স্টেশনে ভাঙচুরে অভিযোগ পাওয়া গেছে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে অতর্কিত এ হামলা চালানো হয়।
খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, দুপুর ১২টার দিকে রেলস্টেশনে সামনে পুলিশের বসার স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা বসেছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের উঠে যেতে বললে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং স্টেশনের দরজা-জানালার ২৫টি গ্লাস ভেঙে ফেলে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে জিআরপি থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দেয়া হয়েছে।
ওই পোস্টে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে আমাদের জাতীয় সম্পদ। সেটি রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
সেই রেলস্টেশনে হামলা করেছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী বাহিনী। সমাবেশের নামে সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে বিএনপি, তাদের মুখের ভাষা ও কার্যক্রম কোনোটাই রাজনীতির সাথে যায় না।’
এর আগে শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকেই বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে সোনালী ব্যাংক চত্বরের সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনাকীর্ণ হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল। ব্যানার-ফেস্টুন আর মিছিল-স্লোগানে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। দুপুরে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে শুরু হয় মূল সমাবেশ।
দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা ও মামলার প্রতিবাদ আর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির এ বিভাগীয় সমাবেশ।
সমাবেশ দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সোয়া ১২টায় কোরআন তিলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। সমাবেশের শুরুতে বিভাগের বিভিন্ন জেলার শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শফিকুল আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।