১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:০৩:২৩ অপরাহ্ন


ডাচদের হারিয়ে সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কা
ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১০-২০২২
ডাচদের হারিয়ে সুপার টুয়েলভে শ্রীলঙ্কা ফাইল ফটো


সুপার টুয়েলভে যেতে হলে আজকের ম্যাচে জিততেই হতো শ্রীলঙ্কাকে। ডাচদের বিপক্ষে ১৬ রানে জিতেই সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করলো লঙ্কানরা। এদিকে, নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ জিতলেও শ্রীলঙ্কার কাছে হারে উল্টো এখন শঙ্কায় নেদারল্যান্ডের সুপার টুয়েলভে ওঠার সম্ভাবনা।

জিলংয়ের কার্ডিনিয়া পার্কে টস বাঁচা-মরার ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। আগে ব্যাট করে ওপেনার কুশল মেন্ডিসের ঝড়ো ফিফটিতে ১৬২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।

১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে ডাচ ব্যাটাররা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ডাচরা তুলতে পারে ১৪৬ রান। ডাচদের হয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যাট হাতে লড়াই করছেন একমাত্র ম্যাক্স ও’ডাউদ। তার অপরাজিত ৭১ রানও যথেষ্ট হয়নি দলকে জেতানোর জন্য।

নেদারল্যান্ডেকে হারিয়েই ‘এ’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে শ্রীলঙ্কা। ৪ পয়েন্টের সাথে তাদের রান রেট এখন (+)০.৬৬৭। সমান পয়েন্ট নিয়েও পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও ডাচদের সুপার টুয়েলভে অটাহ এখনও অনিশ্চিত।  কারণ তাদের রানরেট এখন (-)০.১৬২। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নামিবিয়া হারিয়ে দিলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সুপার টুয়েলভে চলে যাবে তারা। আর রানার্স আপ হয়ে তাদের সঙ্গী হবে শ্রীলঙ্কা। সেক্ষেত্রে রানরেটের খাড়ায় পড়ে বাদ পড়তে হবে প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পাওয়া নেদারল্যান্ডকে।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ধীরস্থিরভাবেই করেছিলেন দুই লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা আর কুশল মেন্ডিস। পাওয়ার প্লে'র ৬ ওভারে বিনা উইকেটেই ৩৬ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু পরের ওভারে গিয়েই নিশাঙ্কাকে ফেরান পল ভ্যান মেকেরেন। ২১ বলে ১৪ রান করেই ফেরেন লঙ্কান এই ওপেনার।

পরের বলেই ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কাকে বড় ধাক্কাই দেন এই ডাচ পেসার। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও সেটি আর হয়নি অবশ্য। পরপর দুই উইকেট হারানোর ধাক্কাটা সামলে নিয়েছেন কুশল মেন্ডিস আর চারিথ আসালাঙ্কা মিলে। দুজন  মিলে গড়েন ৬০ রানের জুটি। রানের গতিও বাড়িয়েছেন এই দুজন। 

দলীয় ৯৬ রানে আসালাঙ্কা আউট হয়ে গেলে ভাঙ্গে এই জুটি। ৩০ বলে ৩১ রান করে বাস ডি লিডের বলে ফিরে যান এই ব্যাটার। ভানুকা রাজাপাকসে এসে ভালো শুরু করলেও ১৩ বলে ১৯ রান করেই ডি লিডের বলেই ফিরতে হয় তাকেও।

অধিনায়ক দাসুন শানাকাও এদিন করতে পারেননি কিছুই। ৫ বলে ৮ রান করেই ফেরেন তিনি। ১৫১ রানে ৫ম উইকেট হারায় লঙ্কানরা। অন্যদের যাওয়া আসার ভিড়ে দলের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন ওপেনিংয়ে নামা কুশল মেন্ডিস।

ডাচ বোলারদের চোখ রাঙানি সামলে ৪৪ বলে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংসেই লঙ্কানদের স্কোরবোর্ডকে দেড়শ ছাড়িয়েছেন এই ওপেনার। ইনিংসের শেষ ওভারে ভ্যান ডার গুগটেনের বলে কুশল মেন্ডিস যখন আউট হন দলের রান তখন ১৫৭। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৬২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।

১৬৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুকতে থাকে নেদারল্যান্ড। ৪র্থ ওভারেই ওপেনার বিক্রম সিংকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ডাচরা। তিন নম্বরে নামা বাস ডি লিড আশা জাগিয়েও ফিরে গেছেন ১০ বলে ১৪ রান করেই। 

হাসারাঙ্গা ডি সিলভা কলিন অ্যাকারম্যানকে ফিরিয়ে দেন শূন্য হাতেই। ৪৭৭ রানেই ৩ উইকেট হারায় দাচরা। সেখান থেকে ওপেনার ম্যাক্স ও'দাউদকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন টম কুপার আর অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তবে বেশিক পারেননি কেউই। ১৯ বইল খেলে মাত্র ১৬ রান করেই ফেরেন কুপার।

থমকে যাওয়া রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ১৫ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যান ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসও। ১০০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে নেদারল্যান্ড।

বাকি সময়টা যেন তীরহারা সমুদ্রে একা নাবিকে হয়ে তীর খুজেছেন ওপেনার ম্যাক্স ও'দাউদ। তবে পারেননি শেষ পর্যন্ত। অন্যদের যাওয়া আসার মিছিলে চেষ্টা করেছইলেন শেষ বল পর্যন্ত। তবে তার অপরাজিত ৫৩ বলে ৭১ রানের ইন ইনিংস পারেনি দলকে জয় এনে দিতে।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলতে পারে নেদারল্যান্ড। ১৬ রানে ম্যাচ হেরে নিজেদের সুপার টুয়েলভে যাওয়াটাকেই ফেলে দেয় শঙ্কার ভেতর। লঙ্কানদের পক্ষে ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন হাসারাঙ্গা ডি সিলভা।