দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের মধ্যে সবচেয়ে কম বায়ু দূষণ হয় রাজশাহীতে। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গত বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ৮১ সদস্যের গবেষণা দলের নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাতাসে ভাসমান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কণা দ্রুত কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রাজশাহী শহর। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আগের দুই বছরের উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। সাতবছর পরও রাজশাহী শহর পেল সবচেয়ে কম বায়ু দূষণের স্বীকৃতি।
ক্যাপস জানিয়েছে, দেশের ৬৪ জেলা শহরগুলোতে ৭ ধরনের ভূমির ব্যবহারের উপর নির্ভর করে ৩ হাজার ১৬৩টি স্থানের অতিক্ষুদ্র ধূলিকণার (আকার ২.৫ মাইক্রনের সমান বা তার নিচে) মান বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পর্যালোচনা করে ফলাফলটি প্রস্তুত করা হয়েছে। অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার মান ৬৫ মাইক্রোগ্রাম। গবেষণায় দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি দূষণ গাজীপুর জেলায়। প্রতি ঘনমিটারে এখানে অতিক্ষুদ্র বায়ুকণার মান ২৬৩ দশমিক ৫১ মাইক্রোগ্রাম। সবচেয়ে কম দূষিত শহর মাদারীপুর। এখানে অতিক্ষুদ্র ধূলিকণার বায়ুমান ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৪৯ দশমিক ০৮ মাইক্রোগ্রাম।
আর বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম দূষণ রাজশাহীতে। আট বিভাগে বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার গড় মান প্রতি ঘনমিটারে ১১৫ দশমিক ০৭ মাইক্রোগ্রাম। এটি আদর্শ মানের চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৭৭ গুণ বেশি। ক্যপসের গবেষণায় উঠে আসে, আট বিভাগীয় শহরের মধ্যে বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা শহর।
রাজশাহীর সময় /এএইচ