২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০২:৩৬:১১ অপরাহ্ন


গাজীপুরে তৃতীয় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১০-২০২২
গাজীপুরে তৃতীয় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন ফাইল ফটো


বস্তাবন্দি অবস্থায় তাছলিমা নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের পর তার মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। ওই নারীর আগেও দুটি বিয়ে হয়েছিল। বর্তমানে তিনি তৃতীয় স্বামী মেহেদীর সঙ্গে গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানে পারিবারিক কলহের জেরেই তৃতীয় স্বামীর হাতে খুন হন ওই নারী। আর এ ঘটনায় আইনি ঝামেলা এড়াতে মরদেহ গুম করেন বাড়ির মালিক স্বপন।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) ময়মনসিংহ জেলা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুল ইসলাম ফকির সময় সংবাদকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নিহত তাছলিমার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায়। পারিবারিক কলহের জেরে নিজের তৃতীয় স্বামীর হাতে খুন হন তাছলিমা। গত ১২ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে।  হত্যার পর  স্বামী মেহেদীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আগেও তাসলিমার আরও দুটি বিয়ে হয়েছিল। তবে বর্তমানে তৃতীয় স্বামী মেহেদীর সঙ্গে তার পারিবারিক কলহ চলছিল। এ নিয়ে গত ১২ অক্টোবর রাতে স্ত্রী তাছলিমাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যান মেহেদী।

পরদিন সকালে বাড়ির মালিক স্বপন ভাড়াটিয়াদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে তাদের কক্ষে প্রবেশ করলে তাছলিমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনাটি পুলিশকে না জানিয়ে আইনি ঝামেলা এড়াতে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তায় ভরে তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ময়মনসিংহের দিকে রওনা দেন।

ময়মনসিংহ সদরের  রহমতপুর বাইপাস এলাকায় নিহত তাছলিমার বস্তাবন্দি মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান স্বপন। পরে মরদেহ উদ্ধার করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পরিচয় শনাক্ত করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মরদেহের নাম তাছলিমা ও তার বাড়ি নান্দাইল বলে জানা যায়। একে একে তার পুরো পরিবারের নাম-পরিচয় উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুল ইসলাম ফকির বলেন, এ ঘটনায় নিহত তাছলিমার বাবার একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর নিহতের স্বামী মেহেদী ও বাড়ির মালিক স্বপনকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  জিজ্ঞাসাবাদে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন মেহেদী।

তবে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করলেও মরদেহ গুম করার বিষয়টি স্বীকার করেন বাড়ির মালিক স্বপন।

এ ঘটনায় নিহত তাছলিমার মরদেহ গুম করার কাজে ব্যবহৃত স্বপনের ব্যক্তিগত গাড়িটি জব্দ করা হয়।