প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসছেন একই সময়ে দুজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী লেখক। তারা হলেন বিশ্বখ্যাত তুর্কি লেখক ওরহান পামুক এবং তানজানিয়ার জনপ্রিয় লেখক আবদুলরাজাক গুরনাহ।
ওরহান পামুক ২০০৬ সালে নোবেল সাহিত্য পুরস্কার পান। অন্যদিকে গত বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান আবদুলরাজাক গুরনাহ। দেশের শিল্প-সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসর ঢাকা লিট ফেস্টের দশম আসরে অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন তারা।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা লিট ফেস্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা মহামারির কারণে টানা তিন বছর বন্ধ ছিল ঢাকা লিট ফেস্টের আয়োজন। এবারের আসর বসবে আগামী ৫-৮ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। এই আসর উপলক্ষেই ঢাকায় আসবেন দুজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী লেখক। চার দিনের উৎসবে মনোজ্ঞ আলোচনা ছাড়াও থাকবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, শিল্প প্রদর্শনী, সংগীত এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কবিতা-গল্প থেকে শুরু করে প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও ইতিহাস, সমাজ ও রাজনীতি, অনুবাদ, বিজ্ঞান, ধর্ম ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর থাকবে বিভিন্ন সেশন।
আয়োজকরা জানান, দুই নোবেলজয়ী সাহিত্যিক ছাড়াও এবার অংশ নিচ্ছেন শিল্প-সাহিত্য, চলচ্চিত্র, সংস্কৃতি অঙ্গনের দেশ-বিদেশের ২০০ জন গুরুত্বপূর্ণ অতিথি। এবারের ২০০ অতিথির মধ্যে ওরহান পামুক ও আবদুলরাজাক গুরনাহ ছাড়াও রয়েছেন নুরুদ্দিন ফারাহ, অমিতাভ ঘোষ, হানিফ কুরেশি, রড্রিগো রে রোজা, পঙ্কজ মিশ্র, টিল্ডা সুইন্টন, জন লি অ্যান্ডারসন, অঞ্জলি রউফ, সারাহ চার্চওয়েল, গীতাঞ্জলি শ্রী, ডেইজি রকওয়েল, এসথার ফ্রয়েড, ম্যাথিউ এইকিন্স, আলেকজেন্দ্রা প্রিঙ্গেল, আন্দ্রে কুরকভ, আসমা সাইদ খান, ডেইম স্যারাহ গিলবার্ট প্রমুখ। এর আগের আসরগুলোয় নোবেল বিজয়ী কথাসাহিত্যিক ভি এস নাইপল, জীববিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী হ্যারল্ড ভারমাস, অস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী টিল্ডা সুইন্টন, পুলিৎজার বিজয়ী লেখক বিজয় শেষাদ্রিসহ অনেকেই অংশ নেন।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে এবং অন্যান্য দেশের কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে যোগসূত্র গড়ার তাগিদে ২০১১ সালে যাত্রা শুরু হয় ঢাকা লিট ফেস্টের। শুরুতে উৎসবের নাম ছিল ‘হে ফেস্টিভ্যাল’। তখন বেশকিছু ইস্যুতে ‘হে উৎসব’ এর সমালোচনা করেছিলেন দেশের অনেক নামী লেখক। পরে নাম বদল করা হয় উৎসবের।