বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে হত্যার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এক কিশোরকে। ভারতের মোহালিতে পাঞ্জাব পুলিশের সদর দপ্তরে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে এক কিশোরসহ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদেরই একজন ওই কিশোর। সে ছাড়াও আরশদীপ সিং নামে অপর একজনকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দিল্লি পুলিশ বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পুলিশের মতে, লরেন্স বিষ্ণোই এবং জগ্গু ভগবানপুরিয়া সিন্ডিকেট দীপক সুরকপুর (বর্তমানে পলাতক) এবং মনু ডাগরের (কারাগারে) মাধ্যমে অভিনেতা সালমান খানকে হত্যার দায়িত্ব দিয়েছিল ওই কিশোরকে।
জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরটি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই তাকে, সুরখপুর এবং ডাগরকে সালমান খানকে হত্যার কাজ দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে সালমানের পরিবর্তে গ্যাংস্টার রানা কান্দোওয়ালিয়াকে তাদের প্রাথমিক টার্গেট করা হয়।
গত বছরের জুনে সালমান খান এবং তার বাবা সেলিম খানকে মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়েছিল। বলিউড সুপারস্টারের বাবাকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি চিঠিও দেয়া হয়েছিল। সেলিম খানের নিরাপত্তা দল তাদের মুম্বাইয়ের বাড়ির বাইরে চিঠিটি খুঁজে পায়। যেখানে সেলিম খান নিয়মিত সকালে ব্যায়াম করতে যান।
২৯ মে পাঞ্জাবের মানসা জেলায় পাঞ্জাবি গায়ক এবং কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যার কথা উল্লেখ করে সেই চিঠিতে বলা হয়, তুমিও মুসওয়ালার মতো একই পরিণতি ভোগ করবে। এরপর ৬ জুন সালমানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল এবং তার বাসভবনের বাইরে একটি পুলিশ ভ্যান মোতায়েন করা হয়। আত্মরক্ষার একটি অস্ত্রও নেন সালমান খান।