আমেরিকায় বসবাসকারী এক মহিলা @edensmomma10_12 নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে নিজের সন্তানের কাছ থেকে মায়ের দূরে থাকার ব্যথা জানিয়েছেন। মূলে রয়েছে সেই অর্থের বাধ্যবাধকতা।
সম্প্রতি এমন এক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে যেখানে শিশুর জন্মের মাত্র ১২ দিন পরেই কাজে যেতে হয়েছে সদ্য মা হওয়া এক মহিলাকে।ওই মহিলাটিকে তাঁর প্রি-ম্যাচিউর বেবির রক্ষণাবেক্ষণের কারণে এনআইসিইউতে রাখতে হয়েছিল, সেখানে প্রতিদিনের ব্যয়ভার এত বেশি ছিল যে মায়ের পক্ষে আর ছুটি নিয়ে সেই বিল মেটানো সম্ভব হত না। ফলে চিকিৎসা শেষে সন্তানকে বাড়িতে এনে রাখতেই মহিলাকে ছুটতে হয় অফিসে। মাতৃকালীন ছুটি নিলে যদি বেতন কাটে এই ভয় ওই মহিলাকে বাধ্য হয়েই চাকরিতে যোগ দিতে হয়। সম্প্রতি টিকটকে ওই মহিলা একটি ভিডিও শেয়ার করে নিজের দুরবস্থার কথা জানিয়েছেন। আপাতত এই ভিডিওটি ৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দেখেছেন। অনেক সহৃদয় ব্যক্তি তাঁকে আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাবও দেন। অনেকে ইতিমধ্যে তাঁকে সাহায্যও করেছেন। এখন তিনি হাসপাতালে বিল মিটিয়ে তাঁর সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। এই ঘটনায় ওই মহিলা নেটিজেনদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মার্কিন দেশে মাতৃত্বকালীন ছুটির নিয়ম:
আমেরিকায় মাতৃত্বকালীন ছুটি সংক্রান্ত আইন অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় ততটা ভালো বলা যায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারি সেক্টরে প্রথমবার মা হওয়া মহিলাদের জন্য কোনও নিরাপদ নিয়ম ও প্রবিধান নেই। প্রতিটি রাজ্যের ক্ষেত্রে এই বিষয়ে বিভিন্ন শর্তাবলী রয়েছে। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যাওয়ার সময় মহিলারা বেতনের কোন অংশ পাবেন, বেতন পাবেন কি পাবেন না, চাকরি থাকবে কি হবে না সে বিষয়ে কোনও আইন ও নিশ্চয়তা নেই।
এই কারণেই মহিলাকে তার সন্তানের হাসপাতালের বিল এবং খরচ মেটাতে সন্তান জন্মের মাত্র ১২ দিনের মধ্যে চাকরিতে ফিরে যেতে হয়েছিল।
রাজশাহীর সময় / এম জি