সৎ ভাইয়ের হামলায় মৃত্যুর মুখ হতে বেঁচে গেল মনির হোসেন। এমন একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে সাপাহারের নিকটবর্তী পত্নীতলা উপজেলার গগনপুর গ্রামে।
জমি জমার ভাগ বাটোরা হতে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে, বাবার সম্পত্তি নিজে ভোগ করার উদ্দেশ্য নিয়ে উপজেলার গগনপুর গ্রামের মোতালেব হোসেন এর পুত্র মনির হোসেন (১২) কে হত্যার উদ্দেশ্যে বাসায় একা পেয়ে ঘরে বন্দি অবস্থায় প্রাণে মেরে ফেলার উপক্রম করে মনিরের সৎ ভাই আব্দুল হান্নান (২৭) ও তার সঙ্গীয় সন্ত্রাসী দল গগনপুর গ্রামের আলমের পুত্র সোয়াইব, জামগ্রামের আমজাদ আলীর পুত্র তৌহিদ, বুলবুল আলমের পুত্র মেহেদী ও আঃ সালামের পুত্র রহমত।
উল্লেখ্য মোতালেব হোসেনের প্রথম স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হইয়া নিকটবর্তী বাবার বাড়ি জাম গ্রামে ছেলে সন্তান নিয়ে বসবাস করতে থাকে, অপরদিকে মোতালেব হোসেন দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার করা অবস্থায় এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান হয়। এরই মাঝে কেটে যায় ১৩-১৪ বছর। সময়- অসময়ে পরিবারটির উপর সম্পদের জের ধরে কাজিয়া বিবাদে লিপ্ত হতো প্রথম স্ত্রী ও সন্তান আব্দুল হান্নান। যার প্রেক্ষিতে যাতে মনির হোসেন অংশীদার না হতে পারে এরকম সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। একপর্যায়ে গত সোমবার দুপুরের পর মনিরকে বাসায় একা পেয়ে কৌশলে বাসায় প্রবেশ করে হান্নান ও তার বাহিনী প্রবেশ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত-পা বেঁধে হাতে ধারালো ছুরি, লোহার রড, চাবির রড দিয়ে মারতে শুরু করে। এ সময় মনির হোসেনের আর্তনাদ ও চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা বাসার দিকে ছুটে আসতে লাগলে টের পেয়ে হান্নান ও তার বাহিনীগণ কৌশলে পালিয়ে যায়, এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় আহত মনির হোসেন কে উদ্ধার করে সাপাহার মডেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মনির হোসেনের বাবা মোতালেব হোসেন।