বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বিদেশি শিল্পী ও কলাকুশলীর অংশগ্রহণ নতুন কোনো ঘটনা নয়। স্বাধীনতার পর থেকেই এই রীতি চালু রয়েছে। বিশেষ করে ভারতীয় শিল্পীরা বাংলাদেশে ভিজিট ভিসায় এসে শুটিং করে চলে যেত। যার ফলে সরকার বঞ্চিত হতো রাজস্ব থেকে। সেই রীতির কিছুটা লাগাম টেনে ধরেন সরকার। এখন আর চাইলেই এটা সম্ভব না। বাংলাদেশে এসে বিদেশি শিল্পীদের শুটিং করার জন্য প্রয়োজন হবে অনুমতি, দিতে হবে ট্যাক্স।
গত চার বছর ধরে এ ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার। শক্ত করেছে নিয়মনীতি। সে আওতায় এবার অনুমতি পেলেন 'সুনেত্রা সুন্দরম' ছবির জন্য পার্নো মিত্রসহ ১৫ জন ভারতীয় অভিনয়শিল্পী। তবে তারা মাত্র দুদিন শুটিং করতে পারবেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় এ অনুমতিপত্র কার্যকর থাকবে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এর মধ্যে যে কোনো দুদিন তারা বাংলাদেশে এসে শুটিং করতে পারবেন। এ সময়ে তারা অন্য কোনো ছবির শুটিং বা কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না।
স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রে পারিশ্রমিকের ৩০ শতাংশ হারে ট্যাক্স দিতে হবে অনুমতিপ্রাপ্ত কলাকুশলীদের। এ ছাড়া বিমান ভাড়া, হোটেল ভাড়া (থাকা খাওয়াসহ) এবং অন্যান্য যাতায়াত ভাড়ার ওপর বাংলাদেশ সরকারের বিধি মোতাবেক চালানের মাধ্যমে কর প্রদান করতে হবে। ট্যাক্স ও অন্যান্য করের কাগজ ছবিটি সেন্সর করানোর সময় সেন্সর বোর্ডে জমা দিতে হবে। না দিলে সেন্সর ছাড়পত্র পাবে না।
এ ছবিটির জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে না। শর্তগুলোর কোনটি লঙ্ঘিত হলে সরকার যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
২৩ মার্চে কলকাতায় শুরু হয় ‘সুনেত্রা সুন্দরম’-এর শুটিং। গল্প আবর্তিত হয়েছে এক নারী স্কলারকে নিয়ে। তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। ফলে তার প্রস্রাবের প্রয়োজন হয় ঘন ঘন। চেষ্টা করলেও চেপে রাখতে পারেন না। সমস্যা হয় তখন, যখন অনেক জায়গায় ওয়াশরুম পাওয়া যায় না। এমন একটি সামাজিক অবস্থা নিয়ে এগিয়ে যায় সিনেমা। সিনেমায় সুনেত্রা চরিত্রে অভিনয় করছেন পার্ণো মিত্র। তার বিপরীতে দেখা যাবে অভিনেতা সোমরাজ মাইতিকে। আরও আছেন রূপাঞ্জনা মিত্রসহ বাংলাদেশি শিল্পী চুমকি ও নাদিয়া।