বলিউডের এই মডার্ন মায়েরা বদলেছেন সমাজের চিন্তা-ভাবনা। আজ মাদার্স ডে-তেজানা যাক এমন কিছু মায়েদের কথা, যারা প্রেগন্যান্সি এবং মাতৃত্বের ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বলিউডে অনেক অভিনেত্রী যেখানে প্রথাগতভাবেই মা হয়েছেন, সেখানে অনেকেই আছেন যারা গতেবাঁধা পথে হাঁটেননি। এই মায়েরা অনেক ট্যাবু ভেঙেছেন এবং সমাজের প্রচলিত চিন্তাভাবনায় এনেছেন জোয়ার।
করিনা কাপুর খান - প্রেগন্যান্সির সময় করিনা কাপুর খান র্যাম্প ওয়াক থেকে শুরু করে সিনেমা করা পর্যন্ত সবকিছু করেন। তিনি দুনিয়াকে দেখিয়েছেন যে, প্রেগন্যান্সি মানেই জীবনে থেমে যাওয়া নয়। তিনি প্রেগন্যান্সিকে যেন গ্ল্যামারাইজ করে তুলেছিলেন। এবং নিজের বই 'প্রেগন্যান্সি বাইবেলও' খুব চর্চায় রয়েছে।
নীনা গুপ্তা- যখন সিঙ্গেল মাদার হওয়ার কথা কেউ ভাবতেও পারত না, সমাজ ছি ছি করত, তখন সেই আশির দশকে নীনা গুপ্তা একা মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভিভ রিচার্ডস নীনাকে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিলে, তিনি পিছু পা হননি। বরং মেয়ে মাসাবাকে একাইমানুষ করার সিদ্ধান্ত নেন।
সুস্মিতা সেন- সুস্মিতা সেন মাত্র ২৪ বছর বয়সে সিঙ্গেল মাদার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং প্রথমে রেনে এবং পরে আলিশাকে দত্তক নেন। তিনি প্রমাণ করেছেন শুধু মাতৃত্বের সুখ পেতে, কোনো মহিলার বিয়ে করার দরকার পড়ে না।
কলকি কোয়েচলিন- কলকি কোয়েচলিন ডেলিভারির জন্য ওয়াটার বার্থ অর্থাৎ জলের মধ্যে সন্তান জন্ম দেওয়ার পদ্ধতি বেছে নিয়েছিলেন। ঐতিহ্যপূর্ণ বিয়ে থেকে আলাদা পথে হেঁটে, তিনি ইজরায়েলি পিয়ানোবাদক গাই হার্শবার্গের সঙ্গে কো-প্যারেন্টিং করার সিদ্ধান্ত নেন। কল্কি পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন, ব্রেস্টফিডিং নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন একাধিকবার।
দিয়া মির্জা - নিজের সন্তানের আগে দিয়া মির্জা এক সৎ মায়ের দায়িত্ব নেওয়া বেছে নিয়েছিলেন। দিয়া ডিভোর্সি পুরুষের সঙ্গে বিয়ে করেন, যার একটি কন্যা সন্তানও ছিল। দিয়া দুনিয়াকে এই মেসেজ (message) দিয়েছিলেন যে, সবসময় নিজের সন্তান হওয়া জরুরি নয়, আপনি মা না হয়েও এই দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিতে পারেন মাতৃত্বের আভা।
লিজা হেডেন- এক, দুই নয় বরং তিনবার অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন লিজা। তিনি ব্রেস্টফিডিং থেকে শুরু করে, মা হওয়ার সঙ্গে আসা চ্যালেঞ্জ, সব নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন।
একতা কাপুর- স্টার প্রডিউসার একতা কাপুর ২০১৯ সালে সারোগেসির মাধ্যমে মাতৃত্বের সুখ পান। তিনি ভারতের সেই অল্প কিছু মহিলাদের মধ্যে একজন, যারা সারোগেসির মাধ্যমে মা হওয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছিলেন।
শিল্পা শেট্টি কুন্দ্রা- ছেলে ভিভানের পর, শিল্পা শেট্টি তাঁর দ্বিতীয় সন্তান সারোগেসির মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২০ সালে মেয়ে সামিশার জন্মের পর, শিল্পা দুনিয়াকে জানিয়েছেন যে কীভাবে একসঙ্গে ঘর আর কাজ, দুয়োই সামলানো যায়।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস- সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ৩০ বছর বয়সেই তাঁর ডিম্বানু সংরক্ষণ করিয়েছিলেন। যাতে ভবিষ্যতে তিনি যখন চান, তখন মা হতে পারেন। যখন তাঁর মেয়ে মালতী মেরির জন্ম হয় সারোগেসির মাধ্যমে।
সোহা আলি খান- ঐতিহ্য এবং আধুনিক জীবনকে একসঙ্গে নিজের সন্তানদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্রেডিট যায় সোহা আলি খানের কাছে। সোহা প্যারেন্টিংয়ের উপর একটি বইও লিখেছেন, যেখানে তিনি কখনও মজার ছলে আবার কখনও গম্ভীরভাবে মাতৃত্বের জার্নি তুলে ধরেছেন।