১২ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১১:০০:০৬ পূর্বাহ্ন


১০টা ফেরাউন একত্রিত করলেও হাসিনার মতো জুলুমকারী হবেন না: হাসনাত
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৩-২০২৫
১০টা ফেরাউন একত্রিত করলেও হাসিনার মতো জুলুমকারী হবেন না: হাসনাত ১০টা ফেরাউন একত্রিত করলেও হাসিনার মতো জুলুমকারী হবেন না: হাসনাত


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘১০টা ফেরাউন যদি একত্র করা হয় তাহলেও হাসিনার মত হবে না। হাসিনার মত এত বড় দুর্ধর্ষ ও জুলুমকারী আর হতে পারে না’

সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা মহিলা কলেজ মাঠে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত যোদ্ধা ও সব শ্রেণি পেশার গণমানুষের প্রতিনিধিদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হাসনাত। এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কসবা উপজেলা শাখা।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসন ব্যবস্থা ছিল আইয়ামে জাহেলিয়া। জাহিলিয়াদের সময় যেরকম বিশৃঙ্খলা পরিবেশ ছিল, গুম খুন, হত্যা নিপীড়ন নির্যাতন ছিল, ঠিক একইভাবে এই আওয়ামী লীগের সময়েও আওয়ামী জাহেলিয়াতের সব অপকর্ম সেখানে বিদ্যমান ছিল।’

হাসনাত বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, গত তিন দিন ধরে বাংলাদেশে টক অফ দা টাউন, আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানকে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো ধরনের নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নেই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের সার্বভৌমত্বের, আমাদের রক্ষার্থে ছিল। আমরা দেখেছি পাঁচই আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছাত্র-নাগরিকের সঙ্গে আওয়ামী বিরোধী অবস্থান নিয়েছে; একই সঙ্গে আমরা এই বিষয়টি বলবো, আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে কখনো অবস্থান নিয়েন না।’

তিনি বলেন, ‘গত দেড় দশকে যে জুলুম হয়েছে, আমি ভার্সেস ডামি নির্বাচন হয়েছে, দিনের ভোট রাতে করা হয়েছে। কবর থেকে এসে ভোট দিয়ে গেছে। সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আমরা কোনো জেনারেলকে পদত্যাগ করতে দেখি নাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে, আমরা কোনো মন্ত্রণালয় সচিবকে পদত্যাগ করে দেখি নাই। আমরা কোনো ডিসিকে জনতার কাতারে নেমে আসছে দেখি নাই।’

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা আপনাদের সামনে প্রতিজ্ঞা করতে চাই, পরবর্তী বাংলাদেশটা আওয়ামী লীগ যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নষ্ট করে দিয়েছে, আপনাদের সঙ্গে করে আপনাদের সহযোগিতায় এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবো। সেইসঙ্গে আপনাদের সচেতন থাকতে হবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে যে ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, জনতাকে যেন এগুলোর বিরুদ্ধে কেউ দাঁড় করিয়ে না দেয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন।

দক্ষিণাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান হল আমাদের আপনাদের। আওয়ামী লীগ এগুলোকে ধ্বংস করেছে। এগুলোকে আমরা সংস্কার করে জন মানুষের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবো।’

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছে এর বিচার কতটুকু এগুলো মানুষের সামনে পোস্ট করার সময় এসেছে। আপনারা সংস্থার সংস্কার করছেন, কত দিনের মধ্যে আপনারা দৃশ্যমান সংস্কার করবেন এ ব্যাপারে রোডম্যাপ আপনাদের স্পষ্ট করতে হবে। আপনাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিচার যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে  নিশ্চিত না হয়, তাহলে আমরা ধরে নেব এখনো পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দোসরা একটিভ রয়েছে।’

হাসনাত প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনার কাছে আহ্বান করব, আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনাদের বাতিল করতে হবে। চিরদিনের জন্য বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে আওয়ামী লীগ।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন: যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, সংগঠক দক্ষিণাঞ্চল, ডা. আশরাফুল ইসলাম সুমন ও জিহান মাহমুদসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। সময় টিভি।