দুই বছর ধরে নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়। এর জেরে ৪১ বছর বয়সি ব্যক্তিকে ১৪২ বছরের সাজা শোনাল আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে কারাদণ্ডের মেয়াদ আরও তিনবছর বৃদ্ধি করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, কেরলের পথনামথিত্তায় এই ঘটনা ঘটে ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে। এর জেরেই কেরলের পকসো আদালতে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। পকসো আইনের অধীনে এটাই আজ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সাজা। জানা যায়, আনন্দন পি আর ওরফে বাবু ২০১৯ থেকে টানা দু’বছর ধরে তাঁরই এক আত্মীয়কে। নির্যাতিতা নাবালিকার সঙ্গে একই বাড়িতে থাকত বাবু। সেই সময় নিজেরই আত্মীয় সেই নাবালিকার উপর নৃশংস অত্যাচার চালায় বাবু। পরে তিরুভালা থানায় বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হয়। আদালতেও দোষী সাব্যস্ত হয় বাবু।
এদিকে ১৪২ বছরের সাজা আদতে খাতায় কলমে। তবে বাকি জীবন জেলেই কাটবে ধর্ষকের। এদিকে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী, অনেক সময়েই জেলবন্দিদের সংশোধন প্রবৃত্তি ও আচরণ দেখে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাবুর ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা একেবারেই নেই বলে মত আইনজ্ঞদের।