ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন। এরপরই রাশিয়ার উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও নিষেধাজ্ঞা আসছে।
বিবিসির খবরে জানা যায়, সমরাস্ত্র-শিল্প কমপ্লেক্স ছাড়াও দুটি আন্তর্জাতিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, আর্থিক খাতের তিনজন প্রধান নেতা, কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও রুশ আইনসভার ২৭৮ জন সদস্যকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণার পরপরই রাশিয়ার ওপর এসব নিষেধাজ্ঞা দেয় বাইডেন প্রশাসন।
এছাড়া বাইরে থেকে যেসব সংস্থা দেশটির সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করবে এবং ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিতে যারা সমর্থন দেবে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার ইউক্রেনের চার প্রদেশ যেমন খেরসন, জাপোরিজিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মস্কোর ঐতিহাসিক রেড স্কয়ারে এক উৎসবমুখর আয়োজনে এ চার প্রদেশের নেতারা রাশিয়ায় যোগদান সম্পর্কিত নথিপত্রে সই করেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এই চার অঞ্চল ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের ১৫ শতাংশ। সম্প্রতি অঞ্চলগুলোতে কথিত গণভোটের আয়োজন করে রাশিয়া। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের অনুপস্থিতিতে আয়োজিত গণভোটে ৯৯ শতাংশ মানুষ রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দেয় বলে দাবি মস্কোর। ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই গণভোটকে সাজানো বলে দাবি করেছে।
ইউরোপীয় কাউন্সিল এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, রাশিয়ার ইউক্রেনের ভূখণ্ড অধিগ্রহণকে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি ও দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা জানাই।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর প্রায় সাত মাস ধরে সেই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।