ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক এবং দক্ষিণাঞ্চলের জাপোরোজজিয়া ও খেরসনে গণভোট করেছে রুশপন্থিরা। তাদের দখলে থাকা ওই চার অঞ্চলে ৫ দিন ধরে চলা গণভোট শেষ হয় গত মঙ্গলবার। এতে ৮৭ শতাংশ থেকে ৯৯ দশমিক ২ শতাংশ নাগরিক রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রশ্নে 'হ্যাঁ' বলেছে বলে জানানো হয়। এ ফলাফলের পর এখন অঞ্চলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করে নেয়ার আয়োজন করছে রাশিয়া।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ওই চার অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হতে যাচ্ছে বলে খবর প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে জুড়ে নেয়ার ঘোষণা দেবেন। এ উপলক্ষে ক্রেমলিনে তার ভাষণ দেয়ার কথা।
এর মধ্যে মস্কোর রেড স্কয়ারে সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়েছে কনসার্টের। এ উপলক্ষে নথিপত্র সইয়ের একটি অনুষ্ঠানও করবেন পুতিন। রাশিয়ার পার্লামেন্টের দুই কক্ষই আগামী সপ্তাহে এ চুক্তিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করবে।
তবে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেমন মেনে নেয়নি, এবারও বিষয়টি মেনে নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, এর কোনো বৈধতা নেই। এটি ইউক্রেন যুদ্ধকে বিপজ্জনকভাবে তীব্রতর করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের চার অঞ্চল যুক্ত করাকে কখনোই স্বীকৃতি দেবে না।
এদিকে আংশিক সেনা সমাবেশ ঘিরে জটিলতা কাটেনি রাশিয়ায়। সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া এড়াতে প্রতিবেশী দেশগুলোয় পাড়ি জমিয়েছেন অনেকে। এখনও যাচ্ছেন বহু রুশ নাগরিক। এ অবস্থায় ফিনল্যান্ড রুশ পর্যটকদের জন্য শুক্রবার থেকে সীমান্ত বন্ধ করে দিচ্ছে। এ যখন অবস্থা তখন পুতিন প্রথমবারের মতো সেনা সমবাবেশের বিষয়ে মুখ খুললেন।
নানা সমালোচনার মুখে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তিনি বললেন, আংশিক সেনা সমাবেশ প্রক্রিয়ায় যা কিছু ত্রুটি আছে তা অবশ্যই সংশোধন করা হবে। এর আগে রাশিয়ার পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছিল যে, আংশিক সেনা সমাবেশ প্রক্রিয়ায় ভুল আছে।