বুরকিনা ফাসো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে সশস্ত্র বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১১ সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া এখনও পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত বেসামরিক নাগরিক নিখোঁজ রয়েছে। সামরিক বাহিনীর ১৫০টি গাড়ির একটি বহর উত্তরাঞ্চলীয় শহরের দিকে সরবরাহের কাজে যাচ্ছিল। সে সময় সশস্ত্র বাহিনী সেনাদের ওপর হামলা চালায়। খবর আল জাজিরার।
মঙ্গলবার সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সৌম প্রদেশের গাসকিন্দে ওই হামলা চালানো হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকেই ওই অঞ্চলে সক্রিয় আল-কায়েদা এবং আইএসআইএল (আইএসআইএস) গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। কিছুদিন পর পরই সেখানে হামলার ঘটনা ঘটছে এবং বিভিন্ন অঞ্চল দখলের চেষ্টা করছে তারা।
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০ সেনাসহ প্রায় ২৮ জন আহত হয়েছে। এছাড়া আরও ডজনখানেক ট্রাক ধ্বংস হয়ে গেছে। গত জানুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে লে. কর্নেল পল হেনরি সানদাওগো দামিবা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই বুরকিনা ফাসোতে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে গেছে।
এদিকে বুরকিনা ফাসো সরকারের মুখপাত্র লিওনেল বিলগো এই হামলাকে কাপুরুষোচিত এবং বর্বর হামলা বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১১ সেনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও প্রায় ৫০ বেসামরিক নাগরিক নিখোঁজ রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।
একটি নিরাপত্তা সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ হতে পারে। ওই সূত্রটি বলছে, কার্যত পুরো কনভয় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে গত এক দশক ধরে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছেই। এর পেছনে অন্যতম কারণ সশস্ত্র সংগ্রাম। মূলত মালি থেকেই এর সূত্রপাত। বিদেশি সেনা এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতি সত্ত্বেও হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।