নাটোরের সিংড়ায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি অপারেশন দল গতকাল রাত ১১টায় বিশেষ গোয়েন্দা ও তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানার কেল্লাবাড়ী এলাকায় কোম্পানী অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন এর নেতৃত্বে সিপিসি-১, দিনাজপুর, র্যাব-১৩, রংপুর এর সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে সিংড়ার মির্জাপুর গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে মোঃ ফাতু (৫০)কে গ্রেফতার করা হয়। এবং রাত ২টায় কোম্পানী উপ-অধিনায়ক, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সিংড়া উপজেলার দিয়ার কাজীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার পলাতক আসামী মো. ফাতু'র ছেলে মোঃ সজিব (২০)কে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি গণমাধ্যমে জানান র্যাব।
র্যাব জানান, গত ১৪ আগস্ট সকাল ৬টায় মির্জাপুর গ্রামের মো. শান্ত হোসেন মাছের পোনা কিনতে বাড়ির বাহিরে গেলে মোঃ ফাতু (৫০) এসে শান্ত'র স্ত্রীর নিকট শান্ত'র সন্ধান জানতে চায়। শান্ত'র স্ত্রী জানায় সে মাছের পোনা কেনার জন্য বাইরে গেছে। তখন মোঃ ফাতু শান্ত'র স্ত্রীর নিকট পানি পান করতে চাইলে সে পানি দেওয়ার জন্য ঘরের ভেতরে প্রবেশ করলে মোঃ ফাতু (৫০) পেছনে পেছনে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে ধর্ষণের উদ্দেশ্য ভুক্তভোগীর পেছন হতে জড়িয়ে ধরে এবং স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। ভুক্তভোগী চিৎকার করলে স্থানীয়দের এগিয়ে আসতে দেখে মোঃ ফাতু ঘর হতে বের হয়ে দৌড় দিলে স্থানীয়রা তাকে ধাওয়া করে আটক করে। তাৎক্ষণাত খবর পেয়ে মোঃ ফাতু'র ছেলে মোঃ সজীব (২০) তার বাবাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য হাতের চাকুর দিয়ে স্থানীয় ৩ জনকে গুরুতর রক্তাক্ত ও জখম করে। এ ঘটনায় মোঃ শান্ত হোসেন বাদী হয়ে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন জানান, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করে সিংড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।