রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় উদমুর্তিয়া অঞ্চলের রাজধানী ইজেভস্কের একটি স্কুলের ভেতরে অতর্কিত হামলা চালায় এক বন্দুকধারী। হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭। এর মধ্যে শিক্ষার্থী রয়েছেন অন্তত ১১ জন। এছাড়াও, আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন। হামলার পরপরই আত্মহত্যা করেন বন্দুকধারী। হামলাকারী 'নব্য নাৎসি' গোষ্ঠীর সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে মস্কো। এদিকে, হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর এবিসি নিউজের।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে স্কুলটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে হামলাকারী এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে, ঘটনাস্থলেই হতাহত হন অনেকে। এ সময় আতঙ্কে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। প্রাণে বাঁচতে কেউ কেউ আশ্রয় নেন টেবিল ও ডেস্কের নিচে। বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষের মেঝেতেও রক্ত জমে থাকতে দেখা যায়। শ্রেণিকক্ষের জানালায়ও ছিল বুলেটের আঘাত।
কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলার খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছালেও, তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আত্মহত্যা করেন বন্দুকধারী। পরে, হতাহতদের উদ্ধার করে স্কুলটি খালি করা হয়। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতদের অধিকাংশই স্কুলটির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
এদিকে, ৩৪ বছর বয়সী ওই বন্দুকধারীর নাম আর্তেম কাজান্তসেভ বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলার সময় তার পরনে 'নাৎসি' চিহ্ন সম্বলিত টি শার্ট থাকায়, তাকে 'নব্য নাৎসি' গোষ্ঠীর সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে, স্কুলে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে 'অমানবিক সন্ত্রাসী হামলা' হিসেবে অভিহিত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে, এ ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শোকও প্রকাশ করেন তিনি। ভয়াবহ এ বন্দুক হামলার ঘটনায় উদমুর্তিয়ায় তিনদিনের শোক ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।