টানা ১০ দিন ধরে বিক্ষোভের লেলিহান শিখা জ্বলছে তেহরান-সহ ইরানের বিভিন্ন এলাকায়। সরকারের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই রাস্তায় নেমেছেন বিক্ষোভকারীরা। মাহশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানের পরিস্থিতি ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের কঠোর হাতে দমন করার বার্তা দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইস। যে ভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন হচ্ছে, তা বরদাস্ত করা হবে না। এই বার্তার পরও সে দেশে বিক্ষোভ থামার লক্ষ্মণ নেই। বিক্ষোভে শামিল হয়ে কমপক্ষে ৪১ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি। যদিও ইরানের মানবাধিকার সংগঠনের তরফে রবিবার দাবি করা হয়েছে, বিক্ষোভ-অশান্তিতে কমপক্ষে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। মহিলা-সহ কয়েকশো বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিকও। অশান্তিতে যারা মদত দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে রবিবার বার্তা দিয়েছে ইরান সরকার।
তেহরানে বিক্ষোভের নানা ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। হিজাব পুড়িয়ে প্রতিবাদে গর্জে উঠতে দেখা গিয়েছে মহিলাদের। পরিস্থিতি সামলাতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, টিকটক ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইরানে কুর্দিস্তান থেকে রাজধানী তেহরানে যাচ্ছিলেন ২২ বছরের মাহশা। সে সময় পথে তাকে আটকায় নীতিপুলিশ। অভিযোগ, হিজাব ঠিকমতো না পরায় তাকে পাকড়াও করে নিয়ে যায় নীতিপুলিশের দল। এর পরই হেফাজতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় তার। পুলিশি অত্যাচারেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে তার। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ইরান জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হয়েছে।