২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৯:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন


জাতিসংঘের সামনে একই সময়ে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ কর্মসূচি, উত্তেজনা
নোমান সাবিত/ বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৯-২০২২
জাতিসংঘের সামনে একই সময়ে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ কর্মসূচি, উত্তেজনা জাতিসংঘের সামনে একই সময়ে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ কর্মসূচি, উত্তেজনা


জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে একই সময় সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষনার পর আজ শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মিরা মুখোমুখি অবস্থান নেবেন। এ নিয়ে নিউ ইয়র্কে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত সপ্তাহ ধরে নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সভা ও পথসভা থেকে আওয়ামীলীগ শান্তি সমাবেশ ও বিএনপির প্রতিরোধ কর্মসূচির ঘোষনা দেওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে উভয় দলের নেতাকর্মিরা মুখোমুখি অবস্থান নেবেন বলে উভয় দলের সূত্র থেকে জানা গেছে।  এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস। 

জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রায় প্রতিবছরেই আওয়ামীলীগ ও বিএনপি এ ধরনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুর থেকেই জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মিরা। পুলিশের ব্যারিকেডের একপাশে বিএনপি এবং অপর পাশে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিরা অবস্থান নিয়ে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মিরা বিক্ষোভ সমাবেশে শেখ হাসিনা ও বর্তমান সরকার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দিতে শুরু করেন। অপর দিকে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আসা আওয়ামীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মিরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি মোতাবেক বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ প্রতিহতের ডাক দেন। ওই সময়ে উভয় দলের নেতাকর্মিদের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। বিভিন্ন ধরনের শ্লোগানের মধ্যে আক্রমানাত্তক মনোভাবের সৃষ্টি হয় উভর দলের মাঝে।

গত ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মুখোমুখি অবস্থানকালে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের শেষ পর্যায়ে বিএনপির আপত্তিকর শ্লোগানে উত্তেজিত হয়ে পড়েন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিরা। এক পর্যায়ে মুখোমুখি হয়ে পড়েন উভয় দলের কর্মিরা। পানির বোতল ও জুতা দিয়ে ঢিল ও পাল্টা ঢিল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরে আইন শৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।

এবারের উভয় দলের নেতাকর্মিদের উত্তেজনামূলক বক্তব্যে একই ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে প্রবাসীরা।