নাটোরের বড়াইগ্রামে পৃথক ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ছয় সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে ২২টি গরুসহ দুটি ট্রাক, নগদ এক লাখ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান।
গ্রেফতাররা হলেন, বড়াইগ্রাম উপজেলার কায়েমকোলা গ্রামের জামাল মন্ডলের ছেলে ফজলে রাব্বি (২৬), বগুড়ার গাবতলী থানার চকডমর গ্রামে মৃত আফসার আলীর ছেলে সেকেন্দার আলী (৪০), সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানার নওখাদা গ্রামের মৃত সাইফুল ব্যাপারীর ছেলে রাসেল ব্যাপারী (৩০), মাদারীপুর সদর থানার চরগোপবিন্দপুরের মৃত সুলতান আহম্মেদের ছেলে ফারুক গোসেন (৪০), কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার বাগগাড়ীপাড়ার মৃত আসকার ব্যাপারীর ছেলে মিন্টু ব্যাপারী (৪০) ও মির্জাপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে শিশির মন্ডল (৩২)।
পুলিশ সুপার জানান, গত ৩০ আগস্ট বড়াইগ্রাম উপজেলার পাবনা-নাটোর মহাসড়কের নারায়ণপুর গ্রামে একটি স্কুলের পাশে ডাকাতরা গরুবোঝাই ট্রাকের পথ রোধ করে। এরপর অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীরা গরুর মালিক ও সঙ্গে থাকা লোকদের হাত-পা বেঁধে অন্য এক জায়গায় ফেলে দিয়ে গরুবোঝাই ট্রাক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে গত ৬ আগস্ট একই রাস্তায় কয়েনবাজার গোরস্তানের সামনে একই কায়দায় একটি গরুবোঝাই ট্রাক ছিনতাই করা হয়। পৃথক দুটি স্থানে পৃথকভাবে মোট ২২টি গরু, দুটি ট্রাক ও নগদ এক লাখ টাকা ছিনতাই করেন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানায় দুটি মামলা হলে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বনপাড়া বাইপাস থেকে ফজলে রাব্বি নামের একজনকে গ্রেফতার করে এবং তার কাছ থেকে ডাকাতির নগদ এক লাখ টাকা উদ্ধার করে।
পরে গ্রেফতার ফজলে রাব্বির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্য পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার, ২২টি গরু এবং ছিনতাই হওয়া দুটি ট্রাক উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানান, ডাকাতির সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজিব ও বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিকসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।