এবার ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খারকিভের ইজিয়াম শহরে গণকবর পাওয়া গেছে। রুশ সেনারা চলে যাওয়ার পর শহরটির কাছেই একটি বনে গণকবর পেয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে ৪৪০টিরও বেশি মৃতদেহ মিলেছে। খবর আল জাজিরার।
সম্প্রতি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে ইজিউম পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনের খারকিভের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ইজিয়াম শহর পরিদর্শন করেন খারকিভ অঞ্চলের প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা সেরহি বলভিনভ। পরদিন বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির আঞ্চলিক পুলিশের এক মুখপাত্র গণকবর পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন।
সেরহি বলভিনভ বলেন, উদ্ধার হওয়া প্রতিটি মৃতদেহের ফরেনসিক পরীক্ষা হবে। এটি এখন পর্যন্ত পাওয়া অন্যতম বড় গণকবর। তিনি আরও বলেন, যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, কিছু মানুষ আর্টিলারির গোলায় মারা গেছেন আর কিছু বিমান হামলার কারণে।
এদিকে এ গণকবরের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেন হামলার প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে বুচা শহরে যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, একইভাবে ইজিয়ামেও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে আসলেই কী ঘটছে এবং রাশিয়ান দখলদারিত্ব কীসের দিকে পরিচালিত হচ্ছে আমরা বিশ্বকে সেটাই জানাতে চাই।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। অভিযানের প্রথম পর্যায়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে বুচা শহরে গণকবর পাওয়া যায়। সে সময় ওই গণকবরে ৪১০টি মরদেহ পাওয়ার কথা জানায় ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। রুশ সেনারাই এসব বেসামরিককে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তাদের।
ইউক্রেন সরকার ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বুচায় ‘যুদ্ধাপরাধ’র অভিযোগও এনেছে। বৃহস্পতিবার রাতে দেয়া ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া সর্বত্র মৃতদেহ রেখে যাচ্ছে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।