ব্রিটেনের রানির মৃত্যুর পর ফের কোহিনুর ফেরতের দাবি উঠতে শুরু করল দেশের সামাজিক মাধ্যমগুলিতে। এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে প্রিন্স চার্লস সিংহাসনে আসীন হয়েছেন। এবং সেইসঙ্গে ১০৫ ক্যারেটের কোহিনুর হীরের মালিকানাও চলে যাচ্ছে তাঁর স্ত্রী রানির বউমা ডাচেস অফ কর্নওয়াল ক্যামিলার কাছে।
কোহিনুর শব্দের অর্থ ‘আলোর পাহাড়’। যা আসলে একটি বড় স্বচ্ছ হীরে। ১৪ শতকের গোড়ার দিকে দক্ষিণ ভারতে পাওয়া গিয়েছিল ওই হীরে। ঔপনিবেশিক যুগে ব্রিটিশদের হাতে চলে যায় ওই মূল্যবান রত্ন। তবে ভারত–সহ চারটি দেশ ওই হীরের মালিকানা দাবি করে।
রানির মৃত্যুর পর যখন দেশ রবিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে, তখন টুইটার–সহ একাধিক সামাজিক মাধ্যমে দাবি উঠছে— কোহিনুর ফেরত দিতে হবে ব্রিটেনকে। একজন টুইটার ব্যবহারকারী ‘ধুম ২’ সিনেমার একটি ক্লিপ পোস্ট করেছেন। যাতে দেখা যাচ্ছে হৃতিক রোশন হীরে চুরি করছে। টুইটে ওই ব্যাক্তি লিখেছেন, ‘আমাদের হীরে ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে ভারতের পথে।’ ক’য়েকজনের টুইট, রানি তো চলে গেলেন, এবার কি আমরা আমাদের হীরেটি ফেরত পেতে পারি।
‘অ্যান এরা অফ ডার্কনেস’ বইয়ে শশী থারুর উল্লেখ করেছেন যে, কোহিনুরকে একসময় বিশ্বের বৃহত্তম হীরে বলে মনে করা হত। যার ওজন ৭৯৩ ক্যারেট বা ১৫৮.৬ গ্রাম। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে কাকাতিয়া রাজবংশ অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের কাছে হীরেটি প্রথম পায় বলে মনে করা হয়। তবে এখন হীরেটির মাপ কমিয়ে এখন ১০৫ ক্যারেট করা হয়েছে। দাক্ষিণাত্যের কাকাতিয়া, দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি এবং পরবর্তীকালে মুঘলদের হাতে যায় কোহিনুর। হীরেটির রাজকীয় ওই যাত্রাপথের উল্লেখ রয়েছে শশীর বইয়ে। নাদির শাহের হাত ধরে হীরেটি আফগানিস্তানেও পৌঁছেছিল।
জনশ্রুতি আছে যে, নাদির শাহই হীরেটির নামকরণ করেছিলেন কোহিনুর। থারুর উল্লেখ করেছেন, ১৮০৯ সালে কোহিনুর পাঞ্জাবের শিখ মহারাজা রঞ্জিত সিং-এর দখলে আসার আগে বিভিন্ন রাজবংশের হাতে ছিল। তিনি দাবি করেন যে, রঞ্জিত সিংয়ের উত্তরসূরী তার রাজ্য ধরে রাখতে পারেনি এবং দুটি যুদ্ধে ব্রিটিশদের কাছে পরাজিত হয়েছিল। সেই সময়ই কোহিনুর ব্রিটিশদের হাতে পড়ে। বইয়ে থারুর ভারতে কোহিনুর প্রত্যাবর্তনের পক্ষে যুক্তি লিখেছিলেন, এবং যুক্তরাজ্যের ঔপনিবেশিক ইতিহাসের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছিলেন।
লেখক এবং ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ডালরিম্পল তার ‘কোহিনুর’ বইয়ে উল্লেখ করেছেন যে, শিশু শিখ উত্তরাধিকারী দলীপ সিং রাণী ভিক্টোরিয়ার কাছে রত্নটি সমর্পণ করার জন্য অনুতপ্ত ছিলেন।
‘অ্যান এরা অফ ডার্কনেস’ বইয়ে শশী থারুর উল্লেখ করেছেন যে, কোহিনুরকে একসময় বিশ্বের বৃহত্তম হীরে বলে মনে করা হত। যার ওজন ৭৯৩ ক্যারেট বা ১৫৮.৬ গ্রাম। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে কাকাতিয়া রাজবংশ অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের কাছে হীরেটি প্রথম পায় বলে মনে করা হয়। তবে এখন হীরেটির মাপ কমিয়ে এখন ১০৫ ক্যারেট করা হয়েছে। দাক্ষিণাত্যের কাকাতিয়া, দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি এবং পরবর্তীকালে মুঘলদের হাতে যায় কোহিনুর। হীরেটির রাজকীয় ওই যাত্রাপথের উল্লেখ রয়েছে শশীর বইয়ে। নাদির শাহের হাত ধরে হীরেটি আফগানিস্তানেও পৌঁছেছিল।
জনশ্রুতি আছে যে, নাদির শাহই হীরেটির নামকরণ করেছিলেন কোহিনুর। থারুর উল্লেখ করেছেন, ১৮০৯ সালে কোহিনুর পাঞ্জাবের শিখ মহারাজা রঞ্জিত সিং-এর দখলে আসার আগে বিভিন্ন রাজবংশের হাতে ছিল। তিনি দাবি করেন যে, রঞ্জিত সিংয়ের উত্তরসূরী তার রাজ্য ধরে রাখতে পারেনি এবং দুটি যুদ্ধে ব্রিটিশদের কাছে পরাজিত হয়েছিল। সেই সময়ই কোহিনুর ব্রিটিশদের হাতে পড়ে। বইয়ে থারুর ভারতে কোহিনুর প্রত্যাবর্তনের পক্ষে যুক্তি লিখেছিলেন, এবং যুক্তরাজ্যের ঔপনিবেশিক ইতিহাসের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছিলেন।
লেখক এবং ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ডালরিম্পল তার ‘কোহিনুর’ বইয়ে উল্লেখ করেছেন যে, শিশু শিখ উত্তরাধিকারী দলীপ সিং রাণী ভিক্টোরিয়ার কাছে রত্নটি সমর্পণ করার জন্য অনুতপ্ত ছিলেন।
১৯৪৭ সালের প্রথম দিকে ভারত সরকার একাধিকবার কোহিনুরের প্রত্যাবর্তনের দাবি জানিয়েছিল। তবে, ব্রিটিশ সরকার প্রতিবারই ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
২০১৬ সালে ভারতের তৎকালীন সলিসিটর জেনারেল রণজিৎ কুমারের একটি জনস্বার্থ মামলার জবাব দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টে বলেছিলেন যে, কোহিনুর রঞ্জিত সিং স্বেচ্ছায় শিখ যুদ্ধের জন্য ব্রিটিশদের ক্ষতিপূরণের জন্য দিয়েছিলেন।