২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৫:৪৬:৪১ অপরাহ্ন


এক নজরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৯-২০২২
এক নজরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ফাইল ফটো


রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ পুরো নাম এলিজাবেথ আলেকজান্ড্রা ম্যারি। ব্রিটেনের দীর্ঘতম রাজত্বকারী এই শাসক ২১ এপ্রিল, ১৯২৬ সালে লন্ডনের ১৭ ব্রুটন সেন্টে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেই বছরের ২৯ মে বাকিংহাম প্যালেসের ব্যক্তিগত চ্যাপেলে তার নামকরণ করা হয়।

তিনি ছিলেন রাজা জর্জ এবং রানি এলিজাবেথের প্রথম সন্তান। রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের পরে সিংহাসনে তার বাবা জর্জ বসলে তখন থেকেই সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে গণ্য হতেন তিনি।

তিনি বাড়িতে পারিবারিকভাবে শিক্ষিত হয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ স্থলসেনাবাহিনীর নারী বিভাগ অগজিলিয়ারি টেরটোরিয়াল সার্ভিসে কর্মরত থেকে জনসাধারণের দায়িত্ব পালন শুরু করেছিলেন।

তিনি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন যখন তার চাচা এডওয়ার্ড অষ্টম ১১ ডিসেম্বর, ১৯৩৬ সালে পদত্যাগ করেন এবং তার পিতা রাজা ষষ্ঠ জর্জ হন। তার বয়স সে সময় ছিল ১০ বছর।

১৯৪৭ সালে তিনি গ্রিক ও ডেনমার্কের প্রাক্তন রাজপুত্র ডিউক অফ এডিনবরা ফিলিপকে বিয়ে করেন। এলিজাবেথ-ফিলিপ দম্পতির চারটি সন্তান রয়েছে। তারা হলেন ওয়েলসের যুবরাজ চার্লস (জন্ম ১৯৪৮), রাজকুমারী অ্যান (১৯৫০), ইয়র্কের ডিউক যুবরাজ অ্যান্ড্রু (১৯৬০) এবং ওয়েসেক্সের আর্ল যুবরাজ এডওয়ার্ড (১৯৬৪)। ফিলিপ ২০২১ সালের এপ্রিলে ৯৯ বছর বয়সে মারা যান।

১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার বাবা রাজা জর্জ মারা গেলে এলিজাবেথ কমনওয়েলথের প্রধান হন এবং সাতটি কমনওয়েলথভুক্ত দেশের রেজিমেন্টের প্রধান হন। দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান এবং সিলন (বর্তমান নাম শ্রীলঙ্কা)।

সিংহাসনে আরোহনের সময় তিনি কেনিয়া সফরে ছিলেন। তিনি ১৯৫৩ সালের ২ জুন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রাজকীয় মুকুট পরেছিলেন। রাজ্যাভিষেকের এই অনুষ্ঠানটি টেলিভিশনে প্রথম রাজ্যাভিষেক হিসেবে সম্প্রচার হয়েছিল।

তিনি যে সময় ক্ষমতায় আরোহন করেছিলেন সে সময় সোভিয়েত ইউনিয়নে জোসেফ স্ট্যালিন, চীনে মাও সেতুং এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব ছিলেন হ্যারি ট্রুম্যান। সে সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উইনস্টন চার্চিল।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, জ্যামাইকা, অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা, বাহামা, বেলিজ, গ্রেনাডা, পাপুয়া নিউ গিনি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্টসহ ১৫টি রাজ্যের রানী হিসেবে ছিলেন। তার শাসনামলে ১৪ জন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

এ বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি তার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী অর্থাৎ রাজ্যভিষেকের ৭০ বছর উদযাপন করেছেন। এর আগে ১৯৭৭, ২০০২ এবং ২০১২ সালে যথাক্রমে তার রৌপ্য, স্বর্ণ এবং হীরক জয়ন্তী উদযাপন করেছেন।

মারা যাওয়ার আগে তিনি ছিলেন বিশ্বের ইতিহাসের দীর্ঘতম শাসনকারী নারী রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত রাজ্যশাসক, বর্তমানে জীবিত রাজা-রাণীদের মধ্যে সর্বাধিক দীর্ঘকাল ধরে শাসনকারী রাজ্যশাসক এবং বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে সর্বাধিক প্রবীণ ও দীর্ঘকালীন রাষ্ট্রপ্রধান।