রাজশাহীর পুঠিয়ার পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে বরগুনা জেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম।
পুলিশ জানায়, কলেজ ছাত্রীর ধর্ষণ মামলার পরই মেয়র আত্মগোপনে চলে যান। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাকে বরগুনা জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার রাত ১২ টায় রাজশাহী কলেজের ওই শিক্ষার্থী মামলার এজাহারে জানিয়েছেন, গত বছর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হলে তিনি তালাকের জন্য মেয়রের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সূত্র ধরে মেয়র মামুন তার দায়িত্ব নেয়া ও চাকরি দেয়ার প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গত সোমবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়।
এ ছাড়াও গত বছরের শুরুতে দুর্গাপুরের বাসিন্দা এক হাসপাতালের সেবিকা মেয়র মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছিলেন। যদিও অভিযুক্তের পরিবারের দাবি করছে, সে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
এদিকে ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্বজনরা সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।