২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৪:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন


মস্কো ও কিয়েভ উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখছে তুরস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৯-২০২২
মস্কো ও কিয়েভ উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখছে তুরস্ক তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ফাইল ফটো


একদিকে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে সামরিক ড্রোন দিয়েছে দেশটি; অন্যদিকে রুবলের বিনিময়ে রাশিয়া থেকে তুর্কস্ট্রিম পাইপলাইনের মাধ্যমে সরাসরি প্রাকৃতিক গ্যাস ও প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশস্য আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্ক যখন তলানিতে, তখন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর বাইরে গিয়ে মস্কো ও কিয়েভ উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে তুরস্ক।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রাশিয়া থেকে গ্যাস ও খাদ্যশস্য আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেন এরদোগান। তবে একই অনুষ্ঠানে জ্বালানি সংকট নিয়ে মন্তব্য করে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তিনি।    


রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে জার্মানিসহ গোটা ইউরোপ যখন জ্বালানি সংকটে অস্থির, তখনই ভয়াবহ এ পরিস্থিতির জন্য খোদ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপরই দোষ চাপিয়েছে তুরস্ক। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণেই ইউরোপে জ্বালানি সংকট চরমে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন এরদোগান।  

তিনি বলেন, ইউরোপে জ্বালানি সংকট রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ’র নিষেধাজ্ঞার ফল। রাশিয়াকে বাঁচাতেই প্রাকৃতিক গ্যাসকে ইইউ’র বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন পুতিন। 

এরদোগান আরও বলেন, ইউরোপ নিজেদের কারণেই তেল-গ্যাসের কঠিন সংকটে পড়েছে। ফলটা তেমনই পাবেন, যেমনটা আপনি বীজ বপন করেছিলেন। এখন পুতিনের প্রধান অস্ত্রই জ্বালানি শক্তি। ইউরোপের তা অনেক আগেই বোঝা উচিত ছিল। 

এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানিসহ নানা সংকটে জর্জরিত জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলোর চলমান পরিস্থিতি এরদোগানের এমন মন্তব্যে আরও বেগতিক হবে। একই সঙ্গে রাশিয়া কোনোভাবেই ইউরোপের ক্ষতি করতে পারবে না বলেও মত তাদের।