২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৩৯:৫৬ পূর্বাহ্ন


খুলনায় বাবা-ছেলে হত্যায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৯-২০২২
খুলনায় বাবা-ছেলে হত্যায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন খুলনায় বাবা-ছেলে হত্যায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন


খুলনার তেরখাদা উপজেলার আলোচিত জোড়া খুন মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম দ্বীন ইসলামসহ ১৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ মামলার অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

খুলনা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার রোববার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১১টায় প্রিজন ভ্যানে করে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয় আসামিদের। মামলার রায় শোনার জন্য তেরখাদা ছাগলাদাহ ববিনিয়ন থেকে কয়েক হাজার মানুষ আদালত চত্বরে ভিড় করেন। আদালতের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাদের সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট রাতে তেরখাদা উপজেলার পহরডাঙ্গা গ্রামের পিরু শেখ ও তার পরিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ২টার দিকে মামলার আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত সিঁধ কেটে ভিকটিমের ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। অন্য সদস্যদের ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দেয় তারা।

এ সময় উপস্থিত আসামির মধ্যে আব্দুর রহমান হুকুম দিয়ে বলে পিরুকে কুপিয়ে শেষ করে দে। ওর জন্য আমি চাকরি হারিয়েছি। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আসামি সাইফুল হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে পিরুর মাথায় কোপ দেয়। কোপে ভিকটিমের মাথার হাড় কেটে ঘিলু বের হয়ে যায়। পরে অন্য আসামিরা পিরুকে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। ভিকটিম ও তার স্ত্রী চিৎকার করতে থাকলে পাশের ঘর থেকে ছেলে নাইম বাবাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে এলে তাকে টেনেহিঁচড়ে আসামিরা উঠানে নিয়ে যায়।

আসামি খালিদ শেখ ফলাযুক্ত ফুলকুচি দিয়ে নাইমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দেয়। এ সময় ওই অস্ত্র ভিকটিমের ছেলের বুকে বিদ্ধ হয়। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকলে আসামি হাবিবুর ও জিয়ারুল চাপাতি দিয়ে নাইমের কনুই ও ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলে নাইমের মৃত্যু হয়। আসামিরা চলে যাওয়ার পর পিরু শেখকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন পিরু মারা যায়।

এ ব্যাপারে নিহত পিরুর স্ত্রী ঘটনার দুদিন পর বাদী হয়ে তেরখাদা থানায় স্বামী ও সন্তান হত্যার অভিযোগে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।