২৮ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০১:৩৮:০২ পূর্বাহ্ন


ছিনতাইকারী রুবেলের টার্গেট নারী, করেছেন অর্ধশত ধর্ষণ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৯-২০২২
ছিনতাইকারী রুবেলের টার্গেট নারী, করেছেন অর্ধশত ধর্ষণ ফাইল ফটো


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপহরণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত মূল আসামি শাকিল আহমেদ রুবেলসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত পুলিশের স্টিকারযুক্ত দুটি মোটরসাইকেল, একটি পিস্তল ও একটি ওয়্যারলেস সেট উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ‍পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, পুলিশ পরিচয়ে সারা দেশে দেড় হাজারেরও বেশি ছিনতাই করেছে শাকিল আহমেদ রুবেল। এ সময় সে ধর্ষণ করেছে অর্ধশতেরও বেশি।

ডিবি প্রধান হারুনুর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন রুবেল এভাবে ছিনতাই করে আসছিল। সে যখন ছিনতাই করে তখন পুলিশের স্টিকারযুক্ত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে। সঙ্গে থাকে পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট। ছিনতাইয়ে তার মূল টার্গেট নারী।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট ছিনতাইয়ের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। ‘পুলিশ’ লেখা মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে তার কাছে থাকা মালামাল ছিনিয়ে নেয়া হয়। ঘটনার পর ২৬ আগস্ট তুরাগ থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৫ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে কল্যাণপুর স্ট্যান্ডে নেমে রিকশায় ওঠেন। কল্যাণপুর শাহী মসজিদের সামনে পৌঁছানোর পর অপরিচিত একজন রিকশার গতিরোধ করেন। নিজেকে পুলিশের লোক হিসেবে পরিচয় দেন ওই ব্যক্তি। এরপর হাতে থাকা একটি ব্যাগের দিকে তাকিয়ে বলেন, এই ব্যাগে অবৈধ জিনিসপত্র রয়েছে। এখনই আপনাকে থানায় যেতে হবে।

পরে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে দ্রুতগতিতে দিয়াবাড়ির নির্জন এলাকায় নিয়ে যান ওই ব্যক্তি। দুপুর সোয়া ২টার দিকে ছুরির ভয় দেখিয়ে ছাত্রীর গলায় থাকা সোনার চেইন, কানের দুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়া হয়।