নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে সংঘর্ষ চলাকালে ‘পুলিশের গুলিতে’ যুবদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দলটি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে নিহতের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
নিহত ওই যুবকের নেতার নাম শাওন (২০) বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩০ জন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি দাবি করে বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে ফতুল্লা থানার কাশিমপুর ইউনিয়নের যুবদল নেতা শাওন নিহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশের হামলায় আমিসহ বিএনপির ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তাফা রাসেল সময় সংবাদকে বলেন, বিএনপি কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে শহরের ডিআইটি এলাকায় দলীয় কর্মসূচি শুরু করে। এ সময়ে পুলিশ তাদের মৌখিকভাবে সতর্ক করে। এতে গুরুত্ব না দেয়ায় পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করলে, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা ওলি-গলি থেকে অতর্কিতভাবে পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেয়। এ সময়ে কিছু টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।
এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় পুলিশের ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তাফা রাসেল। তিনি বলেন, তাদের ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ১৫ জনকে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে নেতাকর্মীরা শহরের উকিলপাড়া মোড় থেকে মিছিল নিয়ে ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশ টিয়ারশেল ছোড়ে। এর পরই সংঘর্ষ শুরু হয়।
রাজশাহীর সময় / এএম