যশোরের বেনাপোলে পূর্বশত্রুতার জের ধরে একই পরিবারের সাতজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। এ সময় প্রভাব বিস্তারে ঘটানো হয় ককটেল বিস্ফোরণ।
রোববার (২৮ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে বেনাপোল বন্দর থানার সীমান্তবর্তী কাগমারি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ওই গ্রামের আজিজের ছেলে শাহ আলম ও আলম, দেলোয়ারের ছেলে শুভ, বারেকের ছেলে খোরশেদ, নুরুর ছেলে শুকুর আলী, সিরাজুলের স্ত্রী মুন্নি ও আবুল খায়েরের ছেলে ফারুক। তারা শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, যশোর সদর ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে আলম ও শুকুর আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোয়াতেন করা হয়েছে।
আহতদের দাবি, একই এলাকার ইমান আলীর ছেলে বাবু, শরবত আলীর ছেলে আমির, আলীর ছেলে শিমুল, বজলুর ছেলে আরমান, ওলিয়ারের ছেলে সাদেক, শরিফের ছেলে সুজন ও হাশেম আলীর ছেলে রওশন আলী পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গ্রামে সালিশ-বিচার নিয়ে কয়েক মাস ধরে দু’পক্ষের রেষারেষি চলে আসছিল। দুই পক্ষের মধ্যে এর আগে পাল্টা পাল্টির দুইটি মামলা ও একাধিক অভিযোগ বেনাপোল পোর্ট থানায় দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিচার সালিশ হলেও কোনো স্থায়ী সমাধান আসেনি। হঠাৎ করে রোববার রাতে বাবু গ্রুপের সদস্যরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও লাঠি, দা, ছোরাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলমের পরিবারের লোকদের ওপর হামলা করে। এতে আলমসহ তার পরিবারের সাতজন আহত হয়।
অন্যদিকে, এ হামলার জেরে রাতেই আহতের স্বজনরা হামলাকারীদের ৩টি বাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুইয়া জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোয়াতেন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।