গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা ইউনিয়নের হিজুলিয়া গ্রামে কীটনাশক পানে ১০৫ বছরের এক বিধবার মৃত্যু হয়েছে। নিহত রমিজা খাতুন কাপাসিয়া উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের আঃ কুদ্দুছের স্ত্রী। তার দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। তারা সকলে বিবাহিত এবং আলাদা সংসারে থাকেন।
নিহতের ছোট ছেলে মো. আক্তারুজামান জানান, আমি কৃষি কাজ করি, জমিতে দেবার জন্য বাজার থেকে তরল কীটনাশক কিনে এনে শোকেজের উপরে রেখে দেই। শনিবার বিকেলে তার ঘরের মধ্যে দুর্গন্ধ এবং মাকে অনেকটাই অচেতন অবস্থায় দেখতে পাই। পাশেই পানের ঢালিতে ওই কীটনাশকের খোলা কৌটা পড়েছিলো। ধারণা করা হচ্ছে মা ওই কৌটা থেকে কীট নাশক খেয়েছেন। পরে তাকে অনেকটা অচেতন অবস্থায় কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে কর্ত্যবরত চিকিৎসক তার পেট ওয়াশ করে দেন এব্ং তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
পরে শনিবার রাত পৌনে নয়টার সময় রমিজা খাতুনকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবেদনের প্রক্ষিতে শবিবার রাতেই বিনা ময়নাতদন্তে লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কড়িহাতা ইউনিয়নের সদস্য মো. লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, রমিছা খাতুন তার ছোট ছেলের সঙ্গে থাকতেন এবং লাঠি ভর করে চলতেন। ঘটনার দিন ছেলে আক্তারুজ্জামান স্থানীয় বাজারে এবং তার স্ত্রী ছিলেন শ্বশুর বাড়িতে। খালি বাড়িতে শনিবার বিকেলের কোনো এক সময় রমিছা ওই কীটনাশক পান করেন। পরে তাকে প্রথমে কাপাসিয়া উপজেলা হাসপাতালে ও পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে নিহত রমিজা মাঝে মধ্যে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতেন। কিভাবে কীটনাশক খেয়েছেন তা বাড়ির কেউ বলতে পারেনি।
কাপাসিয়া থানার এএফএম নাসিম জানান, নিজের ঔষধ মনে করে ওই কীট নাশক পান করেছিলেন রমিছা। পরে আবেদনের প্রক্ষিতে শবিবার রাতেই বিনা ময়নাতদন্তে লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।