২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১০:৫৭:২৪ অপরাহ্ন


গণপরিবহন সংকটে রাজধানীবাসী, বাসে যাত্রীতে ঠাসা
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৮-২০২২
গণপরিবহন সংকটে রাজধানীবাসী, বাসে যাত্রীতে ঠাসা গণপরিবহন সংকটে রাজধানীবাসী


বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সময় কমিয়ে নতুন নিয়ম অনুযায়ী সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস সকাল ৮টায় এবং ব্যাংক ৯টায় শুরু হওয়ার প্রথম দিনেই রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কম ছিল। কোথাও কোথাও দেখা গেছে তীব্র যানজট।

সড়কে পরিবহন কম থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ির দেখা পাচ্ছিলেন না অনেকে। দীর্ঘক্ষণ পর বাস এলেও তাতে তিল ধরার ঠাঁই নেই। তাই কেউ কেউ বাসের দরজায় ঝুলে গন্তব্যের পথে রওনা হয়েছেন। অনেকেই আবার অফিসের পথ ধরেন হেঁটেই । বাস না পেয়ে ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ।

বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে যাত্রীতে ঠাসা। গণপরিবহন কম থাকায় যাত্রী ওঠানামার নির্দিষ্ট জায়গার পরিবর্তে অনেক এগিয়ে সড়কের মাঝখানেই দাঁড়িয়ে জটলা বাঁধতে দেখা গেছে তাদের।

বিমানবন্দর সড়কেও সকাল ৭টার পর থেকে যানবাহনের বেশ চাপ দেখা গেছে। বনানী, মহাখালী, কাকলী, প্রতিটি সিগন্যালেই ছিল দীর্ঘ লাইন, গাড়ি চলেছে ধীর গতিতে। বনানী সিগন্যালের যানাবাহনের লাইন আর্মি স্টেডিয়াম ছাড়িয়ে বনানী ফ্লাইওভার পর্যন্ত চলে যেতে দেখা গেছে।

অফিসের কর্মঘণ্টা এগিয়ে আনার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে দুদিন ছুটি দেয়া হয়েছে। তবে ক্লাসের সময় রাখা হয়েছে আগের মতোই। ফলে অফিস ও স্কুলের ভিড় পড়েছে একই সময়ে। ফলে চাপ বেড়ে গেছে সড়কে। সাধারণ যাত্রীরা বলছেন বাচ্চাদের স্কুল ও অফিসের সময়সূচি একসময় করা উচিত হয়নি।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ আজিমপুর শাখার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আগে বাচ্চাকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে অফিস যেতাম, কিন্তু এখন স্কুল আর অফিসের সময় একই হওয়াতে বেশ অসুবিধায় পড়েছি।

একই বাসে থাকা আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আমার ছেলের ক্লাশ শুরুর সময় আছে আর ১০ মিনিট কিন্তু সামনে যে যানজট তাতে স্কুলে পৌঁছাতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগবে মনে হচ্ছে। বাচ্চাদের স্কুল আর অফিসের সময় একই করা ঠিক হয়নি। এতে আমাদের ভোগান্তি বেড়েছে।

এদিকে অফিসের নতুন সময়সূচি শুরুর প্রথম দিন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে ঠিক সময়ে এসেছেন। আবার ৮টার পরেও অনেককে অফিসে ঢুকতে দেখা গেছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “কর্মঘণ্টা কমলেও জনগণকে সেবা দেয়া কমবে না। অপরদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় হবে।”

নতুন নিয়মে সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। ব্যাংক চলবে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত, এর মধ্যে ৩টা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে।