২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৯:৪১:৪১ অপরাহ্ন


চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৮-২০২২
চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা ফাইল ফটো


ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় এক যুবক তার ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া চাচাতো বোনকে ধর্ষণ শেষে গলা টিপে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই স্কুলছাত্রীর নাম ফারিহা খানম (১১)। সে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নড়াইল এম এ মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ও ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের ইচাডাঙ্গা গ্রামের মোক্তার হোসেনের মেয়ে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকালে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা সার্কেল) সুমন কর এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, আগের দিন রোববার বিকেলে ফারিহার চাচাতো ভাই রাসেল সিকদার (২১) তার চাচা মোক্তার হোসেনের মুদি দোকান থেকে দেড়শ টাকার পণ্য বাকিতে কেনে। সন্ধ্যায় রাসেল বাড়ি গিয়ে ফারিহাকে ডেকে ওই বাকি টাকা নিয়ে যেতে বলে। ফারিহা সরল মনে টাকা আনতে গেলে রাসেল তাকে বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ শেষে গলা টিপে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাসেলদের বাথরুম থেকে ফারিহাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ অভিযুক্ত রাসেলকে আটক করে।

প্রতিবেশীরা জানান, রাসেল উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। এর আগে সে একবার পরিবারের অমতে বিয়ে করলেও সেই বিয়ে টেকেনি। একমাত্র ছেলে উচ্ছৃঙ্খল হওয়ায় রাসেলের বাবা-মা তার সঙ্গে থাকেন না। রাসেল ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার বাবা-মাও ঢাকায় থাকেন। তবে বাবা-মায়ের সাথে তার সম্পর্ক নেই।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা সার্কেল) সুমন কর বলেন, এ ঘটনায় সোমবার বিকালে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বোয়ালমারী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করা হতে পারে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।