২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৯:৩৯:১১ অপরাহ্ন


সমুদ্রসৈকতে নেমে স্রোতের টানে ভেসে গেলেন ৩ পর্যটক
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৮-২০২২
সমুদ্রসৈকতে নেমে স্রোতের টানে ভেসে গেলেন ৩ পর্যটক ফাইল ফটো


কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসল করতে নেমে তিন পর্যটক স্রোতের টানে ভেসে যান। এ সময় দুজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও মারুফ আহমেদ (১৯) নামে একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

নিখোঁজ পর্যটককে উদ্ধারে তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ।

সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে।

নিখোঁজ পর্যটক মারুফ আহমদ গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন কলেজের শিক্ষার্থী।

উদ্ধার হওয়া শাওন হোসেন (২০) গাজীপুরের জয়দেবপুরের হারুন মিয়ার ছেলে এবং মাসুম (২০) ফুলবাড়ি এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তারা দুজনেই কাপাশিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

উদ্ধার হওয়া পর্যটক মাসুম জানান, রোববার রাতে তারা তিন বন্ধু কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। রাতে কলাতলী এলাকার একটি হোটেলে ওঠেন। সোমবার দুপুরে তারা সৈকতে ঘুরতে গিয়ে গোসলে নামেন। এ সময় তারা স্রোতের টানে ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়।

‘সে সময় সৈকতে চলাচলকারী জেট-স্কি চালকের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়। কিন্তু টাকা ছাড়া উদ্ধার করতে রাজি হননি চালক। পরে তাদের দুজনকে লাইফগার্ড কর্মীরা উদ্ধার করতে পারলেও মারুফকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’ যোগ করেন তিনি।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘নিখোঁজ পর্যটককে উদ্ধারে সব ধরনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। জেট-স্কির চালকের বিরুদ্ধে টাকা ছাড়া উদ্ধার না করার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

২ সপ্তাহ ধরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে উত্তাল কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল। এতে জোয়ারের পানি বেড়েছে।

এর মধ্যে জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড কর্মীরা সৈকতে গোসলে নামতে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করে আসছে। কিন্তু অনেক পর্যটক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে সৈকতে গোসলে নেমে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান লাইফগার্ড কর্মীরা।