নাটোরে একজন চিকিৎসক ও শিক্ষিকার একটি গোপন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত চিকিৎসক ও শিক্ষিকার বিচার চেয়ে নাটোর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত দিয়েছেন রোম্বিয়া আক্তার শিখা নামের এক সেবিকা। ওই সেবিকার অভিযোগ, তাদের দৈহিক সমপর্কে সহযোগিতা না করায় তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো হয়।
এই ঘটনায় কলেজ শিক্ষিকার বিচার দাবি করে কলেজের অধ্যক্ষ ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে লিখিত আবেদন করেছে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা।
জেলা প্রশাসকসহ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া অভিযোগপত্র সুত্রে জানা গেছে, শহরের পশ্চিম আলাইপুর হাফরাস্তা এলাকায় বসবাসকারী কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম লিপন ও নাটোর সিটি কলেজের সমাজকল্যাণ বিষয়ের নারী প্রভাষকের দুটি গোপন ভিডিও ভাইরাল হয়।
নাটোরের জেলা প্রশাসকের কাছে গত বৃহস্পতিবার রোম্বিয়া আক্তার শিখা নামের এক সেবিকা লিখিত অভিযোগে জানান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম লিপন ও নারী প্রভাষক নাটোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়মিত দৈহিক সমপর্কে মিলিত হন। তিনি এই হাসপাতালে গত ছয় বছর থেকে সহকারী সেবিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাদের অবৈধ কর্মকান্ডে সহযোগিতা না করায় প্রথমে তাকে মারধর ও জেলে পাঠানোর হুমকি দেন। পরে চলতি বছরের ৫মার্চ পরিকল্পিতভাবে তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানানো হয়েছে।
এসব বিষয়ে নাটোর সিটি কলেজের নারী প্রভাষক বলেন, ডা. লিপন এবং আমার মধ্যে চিকিৎসক-রোগীর সমপর্ক। আমি চিকিৎসার জন্য নিয়মিত তাঁর চেম্বারে যাতায়াত করতাম। একপর্যায়ে দুইজনের সম্মতিতে দৈহিক সমপর্ক হয়েছে। এই ঘটনা কিভাবে ভিডিও করা হয়েছে জানি না। আমি ওই অভিযোগকারী নারী সেবিকাকে চিনি না।
অপরদিকে নাটোরে বসবাসকারী কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আমিনুল ইসলাম লিপনের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসতিয়াক আহমেদ ডলার বলেছেন, এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে । শিক্ষকতা আদর্শের পেশা। শিক্ষার্থী ও সমাজের মানুষ তাদের অনুসরণ করেন। একজন শিক্ষিকার এমন ভিডিও সমাজের অবক্ষয় ছাড়া কিছুই না। এ ব্যাপারে পরিচালনা কমিটির সভা ডেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।