২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৪:৪৯:১৭ অপরাহ্ন


নাইট কোচে নারী যাত্রীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৮-২০২২
নাইট কোচে নারী যাত্রীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে ফাইল ফটো


কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী নাইটকোচে ডাকাতির পর এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ডাক্তার রেহেনা পারভীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরে তাকে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সহকারী অধ্যাপক রেহেনা পারভীন বলেন, তিন সদস্যের মেডিকেল টিম পরীক্ষা করেছে। কিছু সাইন পজিটিভ আছে। সাইন অব স্ট্রাগল রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। তার সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়েছে। জবানবন্দি নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে নৈশকোচে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রাজা মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় যাত্রীদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত তিনটি মোবাইল তার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।

রাজা মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া রাজা মিয়ার কাছ থেকে দুটি ছুরি, একটি কাঁচি এবং যাত্রীদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজা মিয়া এই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ঈগল পরিবহনের চালকের কাছ থেকে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রাজা মিয়া গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন জানান, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে ঈগল পরিবহনের একটি বাস কুষ্টিয়ার বড়াইগ্রাম থেকে ৩০-৩৫ যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে যাত্রীবেশে ডাকাত দল উঠে প্রথমে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যাত্রীদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর এবং লুটের পর এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর ডাকাত দল বাসটি ঘুরিয়ে  টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের সামনে ফেলে নেমে যায়।