১৪ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:৪৬:৪২ অপরাহ্ন


ধর্ষণের শিকার এক শিশুর ভর্তি বাতিল করে বের করে দিলেন মাদ্রাসার পরিচালক!
মঈন উদ্দীন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০১-২০২২
ধর্ষণের শিকার এক শিশুর ভর্তি বাতিল করে বের করে দিলেন মাদ্রাসার পরিচালক! ফাইল ফটো


ধর্ষণের শিকার হওয়ায় রাজশাহীর এক শিশুকে একটি মাদ্রাসায় তার ভর্তি বাতিল করে তাকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে শিশুটিকে একটি স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাববকরা অভিযোগ করায় শিশুটির ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। শিশিুটির বয়স এখন আট বছর। ২০২০ সালের ২১ মার্চ প্রতিবেশী এক কিশোরের হাতে ধর্ষনের শিকার হয় সে। ওই কিশোর এখন জেলহাজতে। শিশুটি বর্তমানে একটি মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসাও চলছে। ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী। রেলের জমির ওপর বস্তিতে একটি ঘর করে বসবাস করেন। শিশুটির মা’ নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালের আয়া হিসেবে চাকরি করেন। তিনি দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হাসপাতালে ডিউটি করেন।

শিশুটর মা’ জানান, পেটের দায়ে চাকরি করতে গিয়ে তিনি এখন সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। ১০ দিন আগে রাজশাহী নগরীর হরগ্রমা মুন্সিপাড়া এলাকার উম্মাহাতুল মু’মিনীন মহিলা মাদ্রাসায় তার মেয়েকে ভর্তি করা হয়েছিল। বেসরকাররি এই মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার্তীদের আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। শিশুটির মা ভেবেছিলেন, এই মাদ্রাসায়  ভর্তি করলে তারা সন্তান নিরাপদেই থাকবে। তবে তিন দিন পরই তাকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ফেরত দেয়া হয়েছে ভর্তি ও আবাসিকের জন্য জমা দেয়া টাকাও।

শিশুটির মা’ বলেন, মাদ্রাসার পরিচালক আমাকে বলেন,  আপনার মেয়েকে নিয়ে গিয়ে অন্য কোথাও ভর্তি করেন। আমি বললাম আমার মেয়ের কোনো সমস্যা? তখন বললেন, না দুরে কোথাও ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে জানাতে চাইলে মাদ্রাসাটির পরিচালক  মাওলানা হাবিবুল্লাহ বলেন, মেয়েটার ব্যাপাওে অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবদের আপত্তি থাকায় এই শিশুটির ভর্তি বাতিল করতে হয়েছে।

শিশুটির মা’ বলেন, মেয়েটাকে নিয়ে আমি ভুক্তভোগী হচ্ছি, মানুষজন বলছে, সমাজ নষ্ট হবে। অনেক মানুষ আমাকে এ ধরণের কথা বলছে। আশপাশের মানুষ আমাকেই বলে আমি নাকি মেয়ে শাসন করি না। ছোট মানুষ কী শাসন করব। একা পেয়ে তো আমার ময়টারই ক্ষতি করা হয়েছে। বর্তমানে মেয়েটাকে অন্য একটি স্কুলে ভর্তি করেছি। ওখানেও যদি কেউ কিছ’ বলে, আবার যদি বের করে দেয়, এই ভয় পাচ্ছি। এখন আমি একটা সুষ্ঠু বিচার চাই। যে আমার মেয়ের ক্ষতি করেছে তার যেন শাস্তি হয়।

রাজশাহীর সময় /এএইচ