নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি বেসরকারী সংস্থার সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও চাকরী প্রদানের নামে প্রতারনার অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। বুধবার গুরুদাসপুর থানার সামনে শাপলা চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধন কর্মসুচীতে এলাকার অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহন করেন।
অভিযোগ ও মামলার নথি সুত্রে জানা যায়, সিধুলাই স্ব-নির্ভর সংস্থার ম্যানেজার ও একাউন্টসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন পদে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে সুপ্রকাশ পাল তার সহকর্মীদের পদোন্নতি ও অন্যত্র সরকারী চাকরী পাইয়ে দেবার কথা বলে মোটা অংকের টাকা অনৈতিকভাবে গ্রহণ করে চাকরী ছেড়ে দিয়ে প্রতারনা করেন। ভুক্তভোগী পরিবারে সদস্যরা অর্থ ফেরৎ ও সুবিচার পেতে গত ২৯ মে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা আমলি আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-১০৯ ও ১১০)।
মানববন্ধনে মামলার বাদি আশরাফুল ইসলাম বলেন, সুপ্রকাশ পাল তাঁর সহকর্মী থাকাকালে চাকরীর পদোন্নতির কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহন করে চাকরী ছেড়ে দিয়ে প্রতারনা করেছেন।
আরেক বাদি আরিফুল ইসলাম বলেন, তাঁর স্ত্রীকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরী পাইয়ে দেবার কথা বলে সুপ্রকাশ পাল ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করেন এবং চাকরী-টাকা ফেরৎ না দিয়ে তালবাহানা করছেন।
এছাড়া মানববন্ধন কর্মসূচিতে ভুক্তভোগীসহ বক্তব্য রাখেন আমিনুর রহমান, তালহা জুবায়ের তপু, আবু বক্কার, অরুপ আলী, ফিরোজ আহম্মেদ, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা জানান, অভিযুক্ত সুপ্রকাশ পাল শুধু চাকরীর দেবার নামেই প্রতারনা করেননি, তিনি সংস্থার আমবাগান-পুকুর লীজসহ নানা অনিয়ম করে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সুপ্রকাশ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিক্তিহীন। চাকরি ও পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। তাই টাকা নেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। বরং চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় আমার বেতন ভাতা ও সার্টিফিকেটগুলো ফেরত দেওয়া হয়নি। তাছাড়া সমস্তকিছুই নিয়ন্ত্রন করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবুল হাসানাত মোহাম্মদ রেজোয়ান। প্রকৃতপক্ষে যেসব কর্মচারী মানববন্ধন করেছেন তারাও নির্বাহী পরিচালকের কাছে জিম্মি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজোয়ান মুঠোফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।