যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে ফের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু নিয়ে ওহাইও অঙ্গরাজ্যে গত কয়েক দিন ধরে উত্তাল হয়ে উঠেছে। ট্রাফিক নিয়ম ভেঙেছিলেন চালক। পুলিশ বলা সত্ত্বেও গাড়ি থেকে নামেননি। উল্টে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। সেই ‘অপরাধে’ ৬০টিরও বেশি গুলিতে জেল্যাল্ড ওয়াকারকে ঝাঁঝরা করেদিয়েছিল পুলিশ।
তাদের অবশ্য দাবি, গুলি চালিয়েছিলেন ওয়াকারও। পুলিশের গুলিতে ফের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে উত্তাল আমেরিকার ওহাইও প্রদেশ। কাল একটি বড় মাপের বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছেন অ্যাক্রনের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরবাসীকে শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার ও মেয়র। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
উত্তর-পূর্ব আমেরিকার ছোট্ট শহর অ্যাক্রনে রোববার রাতে এই ঘটনা ঘটে। আক্রন পুলিশের দাবি, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল একটি গাড়ি। পুলিশ সেটির পিছু নেয়। চালককে গাড়ি থেকে নামতে বলে তারা।
কিন্তু পুলিশের দাবি, গাড়ির ভিতর থেকেই এক বার গুলি ছোড়েন চালক। তার পরে গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশের বিবৃতি অনুয়ায়ী, পালানোর সময়ে তাকে দেখে মনে হচ্ছিল, ফের গুলি চালাতে পারে। তাই আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হই। ঘটনাস্থলেই মারা যান ২৫ বছর বয়সী জেল্যান্ড ওয়াকার। পেশায় ডেলিভারি বয় জেল্যান্ড শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের, জানিয়েছেন তার প্রতিবেশী ও আত্মীয়েরা।
কৃষ্ণাঙ্গ যুবকটি যে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল, বা পরেও গুলি চালানোর চেষ্টা করেছিল, তা কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়নি। তার সাথে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ছিল কি না, সে বিষয়েও পুলিশ নীরব। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এভাবে তাকে হত্যা করা হলো কেন?
জেল্যান্ড পরিবারের আইনজীবী ববি ডি সেলো দাবি করেছেন, পুলিশ সে দিন প্রায় ৯০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। যার মধ্যে অন্তত ৬০টি জেল্যান্ডের শরীর ফুঁড়ে গেছে। অসংখ্য গুলিতে যুবকটির মুখমণ্ডলও ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।
এই ঘটনার পরে ওহায়োর বিভিন্ন শহরে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। রোববার অ্যাক্রনে একটি বড় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় শহরের পুলিশ সদর দফতরের সামনে বাড়তি কাঁটাতার ও ব্যারিকেড লাগানো হয়।
শহরবাসীকে শান্ত থাকার আর্জি জানিয়ে পুলিশ কমিশনার স্টিভ মাইলেট বলেছেন, ঠিক কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখছি। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না। একই বার্তা দিয়েছেন মেয়র ড্যান হরিগ্যান।