করোনার (Corona) ইতি হয়নি এখনও। প্যান্ডেমিক থেকে এন্ডেমিক পর্যায় এখনও এসে পৌঁছয়নি। করোনা নিয়ে ফের সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) । বিশ্বের ১১০টি দেশে নাকি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা সংক্রমণ, এমনটাই দাবি হু প্রধান টেড্রস অ্যাডহানাম ঘেব্রেইসাসের। সংক্রমণের হারও চমকে দেওয়ার মতোই। কাজেই কোভিড বিদায় নিয়েছে, এ কথা জোর দিয়ে বলার সময় এখনও আসেনি।
করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে সতর্কতা জারি হয়েছে। প্রথম তিনটি ওয়েভের মতো প্রাণঘাতী না হলেও চতুর্থ ঢেউতে সংক্রমণ বাড়বে বলেই মনে করছেন ভাইরোলজিস্টরা। আশঙ্কা রয়েছে, যদি করোনা ফের তার জিনগত বদল ঘটিয়ে ফের নতুন প্রজাতি তৈরি করে ফেলে তাহলে সংক্রমণের হার আরও বাড়বে।
হু প্রধান টেড্রস বলছেন, ওমিক্রনের দুই উপপ্রজাতি বিএ৪ ও বিএ৫-এর কারণে আমেরিকা, ব্রিটেন সহ কয়েকটি দেশে সংক্রমণ নতুন করে বাড়ছে। সংক্রমণের হার বা পজিটিভিটি রেট ও মৃত্যুহারও ২০ শতাংশ বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞ বলছেন, শুরুতে সার্স-কভ-২ ভাইরাসের যে স্ট্রেনগুলির জিনোম সিকুয়েন্স বা জিনগত বিন্যাস বের করে ভ্যাকসিনের ফর্মুলা বানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা, তা এখন পুরোপুরি বদলে গেছে। কুড়ি সালের মার্চ মাসে করোনার যে প্রজাতি ছড়িয়েছিল তা এখন জিনের বিন্যাস বদলে ফেলেছে। এই বদল বা মিউটেশন এত ঘন ঘন হয়েছে যে শুরুতে কোন প্রজাতি ছিল এবং তার জিনের বিন্যাস কেমন ছিল তা এখন আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ইলেকট্রিক বিলের নামে ভুয়ো লিঙ্ক, ক্লিক করতেই উধাও লাখ লাখ টাকা, প্রতারণার জালে অভিনেতা
সার্স-কভ-২ আরএনএ ভাইরাস বারে বারেই জিনের গঠন বদলাচ্ছে (জেনেটিক মিউটেশন)। এর প্রতিটি স্ট্রেন একে অপরের থেকে আলাদা। তাই এই ভাইরাসের উৎসের খোঁজ এখনও মেলেনি। যেসব স্ট্রেন থেকে ভ্যাকসিন বানানো হচ্ছে তার বাইরেও করোনার একাধিক সংক্রামক স্ট্রেন রয়েছে যার সবকটির খোঁজ এখনও মেলেনি। তাই ভ্যাকসিন সাময়িকভাবে একটা পর্যায় অবধি সুরক্ষা দিতে পারবে, অনন্তকাল ধরে এর প্রভাব টিকবে না। ভবিষ্যতে যদি এই ভাইরাস ফের তার চেহারা বদল করে ফিরে আসে, তাহলে তার মোকাবিলা এই ভ্যাকসিনে হবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।