পণের দাবিতে ইলেকট্রিক শট দিয়ে এক মহিলাকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে! পুলিশ জানিয়েছে, নদিয়ার চাপড়ায় ভীমপুর থানা এলাকার এই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
জানা গেছে, নিহত ওই গৃহবধূর নাম মহসিনা মণ্ডল। তাঁর বাপের বাড়ি চাপড়া থানার পদ্মমালা এলাকায়। কয়েক বছর আগে ভীমপুর থানায়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ডাঙাপাড়া এলাকার নবাব মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই পণের জন্য মহসিনার উপর শারীরিক নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ।
নিহত বধূর মায়ের দাবি, বিয়ে হওয়ার পর থেকেই তাঁর মেয়েকে কখনও টাকা, কখনও গয়না, কখনও মোটরবাইক আনার জন্য লাগাতার চাপ দেওয়া হতো। শাশুড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধরও করত মেয়ের উপর। গতকাল মেয়ে ফোন করে জানায়, বাড়িতে চরম অশান্তি হচ্ছে। তার পর থেকে আর মেয়ের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি।
আজ, বুধবার সকালে এলাকার মানুষ ফোন করে বধূর বাপেরবাড়িতে খবর দেয়, তাঁদের মেয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।
মেয়েটির পরিবারের লোকজন চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে এসে মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পান। মৃতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতদেহটি উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে ভীমপুর থানার পুলিশ।