২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৩:৫৩:৪০ অপরাহ্ন


প্রতিশোধ নিল রাশিয়া, নিষেধাজ্ঞার কবলে বাইডেনের স্ত্রী-মেয়ে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৬-২০২২
প্রতিশোধ নিল রাশিয়া, নিষেধাজ্ঞার কবলে বাইডেনের স্ত্রী-মেয়ে প্রতিশোধ নিল রাশিয়া, নিষেধাজ্ঞার কবলে বাইডেনের স্ত্রী-মেয়ে


মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেন ও মেয়ে অ্যাশলে বাইডেনসহ যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ জন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মস্কো। এর ফলে তারা আর রাশিয়া ভ্রমণ করতে পারবেন না।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিষেধাজ্ঞা দেয়া ২৫ মার্কিন নাগরিকের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাশিয়ার রাজনৈতিক ও অন্য ব্যক্তিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেশটির ২৫ নাগরিকের নাম ‘স্টপ লিস্ট’-এ যুক্ত করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির। 

রাশিয়ার এ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় জো বাইডেনের স্ত্রী ও মেয়ে ছাড়াও একাধিক মার্কিন সিনেটর রয়েছেন। তাদের মধ্যে মেইন অঙ্গরাজ্যের সুসান কলিন্স, কেনটাকির মিচ ম্যাককনেল, আইওয়ার চার্লস গ্রেসলি ও নিউইয়র্কের সিনেটর ক্রিস্টেন গিলিব্রান্ড অন্যতম।  

এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার এ তালিকায় আছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অধ্যাপক ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। 

এদিকে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো রাশিয়া থেকে সোনা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনকালেই নেতারা এ ব্যাপারে সম্মিলিতভাবে ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে।  

মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতেই সোনা রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সোনা রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি খাত উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এটি পুতিন ও তার মিত্রদের জন্য আয়ের উল্লেখযোগ্য একটি উৎস। 

হোয়াইট হাউসের তথ্যানুসারে, ২০২০ সালে সারা বিশ্বের মোট সোনা রফতানির ৫ শতাংশই এসেছে রাশিয়া থেকে। অন্যদিকে রাশিয়ার ৯০ শতাংশ উৎপাদিত সোনা গেছে জি-৭ দেশগুলোতে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে। 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে মস্কোর ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো।  

তবে পশ্চিমা নেতারা নজিরবিহীন সব নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে রাশিয়ার অর্থনীতিকে চাপের মুখে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করলেও ইউক্রেনে মরিয়া হয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে পুতিন বাহিনী। পাশ্চাত্যের প্রত্যাশা, নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার অর্থের ভাণ্ডারে টান পড়লে তার যুদ্ধ তৎপরতা হ্রাস পাবে। যদিও এখন পর্যন্ত তার কোনো লক্ষণ নেই।