চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতার উপর হামলাকারী স্থানীয় দুর্বৃত্ত জালাল ও ইমনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুর ২টায় হাটহাজারী থানাধীন ফতেহপুর এলাকা মিরেরহাট বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার বখতিয়ার ফকিরের বাড়ি এলাকার মোঃ রফিকের ছেলে মোঃ ইমন(২৪) ও একই থানার বলিটিলা গ্রামের মোঃ ফরিদ আহাম্মদের ছেলে জালাল উদ্দিন জোবায়ের (৩০)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭, চট্রগ্রামের মুখপাত্র সিনিঃ সহকারী পরিচালক মোঃ নূরুল আবছার।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (৩১ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দূর্জয় এবং সাবেক নেতা রাশেদ হোসাইন মোটরসাইকেলযোগে হাটহাজারী থানাধীন ফতেহপুর মদনফকির মাজারের সামনে পৌঁছায়। সেখানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উৎ পেতে থাকা জালাল (৩০), ইমন(২৪) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫জন দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদেরকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এ সময় তারা প্রদীপকে লক্ষ্য করে ১ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে এবং তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর চালায়। পরবর্তীতে প্রদীপ চক্রবর্তী দূর্জয় ও রাশেদ হোসাইনকে গুরুতর জখম অবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রধান করা হয়।
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রদীপের ছোট ভাই বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় ৮ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর থেকে আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিষয়টি গুরুত্বের সহিত গ্রহণ করে এবং জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত রাখে।
নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, জানতে পারে মামলার এজাহারনামীয় ৪নং- আসামী জালাল হাটহাজারী থানাধীন ফতেহপুর এলাকায় এবং ৬ নং আসামী ইমন হাটহাজারী থানাধীন মিরেরহাট বাজারস্থ চন্দ্রপুর এলাকায় অবস্থান করছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুর ২টায় তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বিকার করে।
আসামীদের সিডিএমএস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আসামী জালাল উদ্দিন জোবায়েরের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মাদক সংক্রান্ত ২টি মামলা রয়েছে এবং আসামী মোঃ ইমনের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মাদক এবং নারী ও শিশু নির্যতন সংক্রান্ত ২টি মামলা রয়েছে।
এ ব্যপারে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গস্খহণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাদের সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাবের এই মুখপাত্র।