পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের তিন যুবক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) রাত পৌনে একটায় মুন্সিগঞ্জের নিমতলি হাসারা হাইওয়েতে কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজির সংঘর্ষে চাঁদপুরের তিনজনসহ মোট ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চাঁদপুরের ৩ যুবক ও বিক্রমপুরের ৩ জন।
চাঁদপুরের নিহতরা হলেন: সদর উপজেলার ইচলি এলাকার কলমতর গাজী বাড়ি এনায়েত উল্লাহ গাজী একমাত্র ছেলে সামাদ গাজী (২৪), পল্লি বিদুৎ এলাকার আবুল কালামের ছেলে আহাদ (২০) ও একই এলাকার সিফাত (২০)।
সামাদের চাচাতো ভাই মো. রুবেল বলেন, পদ্মা সেতু দেখার উদ্দেশে তারা তিন বন্ধু চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যায়। সেখান থেকে মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর এলাকায় তাদের অপর দুই বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে দুই বন্ধুর এক বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। রাতে বন্ধুদের বাসায় থেকে শুক্রবার পদ্মা সেতু দেখার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
কিন্তু ৪ বন্ধু মিলে রাতে সিএনজিযোগে মাওয়া যাওয়ার পথে মুন্সিগঞ্জের নিমতলি হাসারা হাইওয়েতে কাভার্ড ভ্যানের পেছন পেছন যাচ্ছিল সিএনজিটি। এসময় কাভার্ডভ্যানটি স্লো করলে সিএনজিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন দিক থেকে আঘাত করে। এসময় সিএনজিতে থাকা পাঁচ যাত্রী ও ড্রাইভার সকলেই ঘটনাস্থলে নিহত হন। যার মধ্যে ৩ বন্ধু চাঁদপুরের আর একজন বিক্রমপুরের। অপর একজন সাধারণ যাত্রী ছিল। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পুলিশের কাছে আবেদন করে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিহত সামাদ গাজীর বন্ধু রাব্বি জানায়, বৃহস্পতিবার আমার বন্ধুরা ঘুরতে যাবে বলে আমাকে জানিয়েছিল এবং আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল আমি যাব কিনা। প্রথমে আমি যাব বলেছিলাম কিন্তু সর্বশেষ গতকাল আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় আমি যেতে পারিনি। এরমধ্যে তাদের সাথে কয়েকবার আমার ইমুতে কথা হয়েছে কিন্তু সর্বশেষ রাতে এই দুর্ঘটনার খবর পাই।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে এখনই খোঁজ-খবর নিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।
রাজশাহীর সময়/এ