সারা দেশে ১ হাজার ১৪৯টি অনুমোদনহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সোমবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় অধিদফতরের এক হালনাগাদ তথ্যে বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চার দিনের অভিযানে ঢাকায় ২৮৬টি, চট্টগ্রামে ১৯০টি, রাজশাহীতে ১৩৫টি, রংপুরে ১৪টি, ময়মনসিংহে ১২১টি, বরিশালে ৬৫টি, সিলেটে ৩৫টি এবং খুলনায় ৩০৩টি অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে।
এর আগে গত তিন দিনে অনুমোদন না থাকায় দেশের ৮৮২টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দেয় সরকার। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগেই ছিল ১৬৭টি।
রোববার (২৯ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক বেলাল হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
বেলাল হোসেন বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা তিন দিন সময় দিয়েছিলাম। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৮২ অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দিয়েছি আমরা। অভিযান আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। যাতে করে অনিবন্ধিত ও অনিয়মের দায়ে দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানগুলো আবার গড়ে না ওঠে, সে জন্য অভিযান চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।
গত ২৫ মে দেশের অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর মনিটরিং ও সুপারভিশন বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুযায়ী ২৬ মে সারা দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। পরদিন থেকে সারা দেশে শুরু হয় অভিযান।
রাজশাহীর সময়/এম