চুয়াডাঙ্গায় মনিশা আক্তার মিমি (২৬) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে শহরের পলাশপাড়ার ওই নারীর শ্বশুরবাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মিমির বাবা বিল্লাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জামাই লিটন সৌদি আরবে থাকার কারণে মিমি ও তার ছেলে শাশুড়ির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা শহরের পলাশপাড়ায় থাকত। মাঝেমধ্যে তার শাশুড়ি ও ননদ আমার মেয়েকে নির্যাতন করত। আমার মেয়ে নামাজি ছিল। সে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছিল বলে আমার ধারণা।
নিহত মিমির ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মাহিম বলেছে, দাদি রোমেছা বেগম ও ফুফু রিক্তা প্রায়ই আমার আম্মুর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত। মাঝেমধ্যে মারধরও করত। শুক্রবার সন্ধ্যার পর আমি বাইরে ছিলাম। রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফিরে দেখি আম্মুকে সবাই হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।
মিমির শাশুড়ি রোমেছা বেগম বলেন, আমাদের সঙ্গে মিমির খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। সে বেশ কয়েক মাস অসুস্থ ছিল। আমরা তাকে কখনো নির্যাতন করিনি। সন্ধ্যার পর নিজ ঘরে মিমিকে ঝুলতে দেখি আমি। পরে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমরা কেন তাকে হত্যা করতে যাব?
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে হত্যা কিংবা নির্যাতনের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। আমরা শুক্রবার রাতেই লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানতে পারব।