অনলাইন ডেস্ক: ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান মাত্র ২৪ হাজার ৩৪৪ পিস গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির ঘোষণা দিয়ে বাস্তবে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩২২ পিস রপ্তানির চেষ্টা করছিল। বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা প্রতিষ্ঠানটির চারটি চালান আটকে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
গতকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার উত্তরা এলাকার আর এম সোর্সিং বাংলাদেশ নামের প্রতিষ্ঠানটি চারটি চালানে ২৪ হাজার ৩৪৪ পিস গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির ঘোষণা দেয়। রপ্তানিকারকের মনোনীত এজেন্ট চট্টগ্রামের সদরঘাট এলাকার বেঙ্গল প্রগ্রেসিভ এন্টারপ্রাইজ এসব পণ্য একটি বেসরকারি ডিপোতে কনটেইনারে লোড করে। কিন্তু এসব চালানের বিষয়ে গোপন সংবাদ থাকায় আটক করেন কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। এরপর চালান চারটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়।
পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, চারটি চালানে গার্মেন্টস পণ্য পাওয়া যায় ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩২২ পিস। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণার চেয়ে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৮ পিস বেশি পণ্য রপ্তানি করে। ঘোষণা অনুযায়ী সরকার রাজস্ব পেত ২৯ লাখ ৬০ হাজার ২৪৮ টাকা। কিন্তু বাস্তবে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছিল, সে অনুযায়ী সরকারের রাজস্ব পেত ৬ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯৫২ টাকা। অর্থাৎ মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮৮ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করছিল।
কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দিন মিঞা বলেন, ঢাকার প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১১৩টি পণ্য চালান রপ্তানি করেছে। একই কৌশলে আগেও তারা এ ধরনের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে কি না তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া সবশেষ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।