মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার আঙ্গুরপাড়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে রোববার (৮ মে) স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক দন্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান রুবেলকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন: উপজেলার বালিয়াখোড়া গ্রামের দন্ত চিকিৎসক আসাদুজ্জামান রুবেলের স্ত্রী লাভলী (৩৫), মেয়ে ছোঁয়া (১৬) ও কথা (১২)। বড় মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম এবং ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো।
স্বজনরা জানান, ২০ বছর আগে রুবেলের সঙ্গে বিয়ে হয় আঙ্গুরবাড়ির গ্রামের পাশের পাড়ার মেয়ে লাভলী আক্তারের। বিয়ের চার বছর পর কন্যা সন্তানের মা হন লাভলী। এর ৫ বছর পর অপর মেয়ে কথার জন্ম হলে তারপর থেকেই রুবেল বিভিন্নভাবে লাভলীকে নির্যাতন করে আসছিলেন। রুবেল প্রায় ২০ লাখ টাকা ঋণ করে। এতে কয়েক দফায় বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসে লাভলী। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরেই ভোরের কোনো এক সময় ধারাল অস্ত্র দিয়ে প্রথমে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে রুবেল। বিষয়টি দুই মেয়ে দেখে ফেলায় তাদেরও হত্যা করা হয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
মানিকগঞ্জ শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবণী বলেন, এ ঘটনায় রুবেলকে আটক করা হয়েছে। হতাশা ও কলহের কারণেই হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
রাজশাহীর সময়/এইচ